
সুরজিৎ দাস, ওঙ্কার বাংলা: রানাঘাটে মাটির নীচে রয়েছে গ্যাস ও তেলের ভাণ্ডার। কয়েক বছর আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গিয়েছিল অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশনের আধিকারিকরা। কিন্তু কাজের অগ্রগতি নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আধিকারিকরা জমি পরীক্ষা করে যাওয়ার পরেও কেন কাজ শুরু হয়নি তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়ে রানাঘাটে খনিজ তেল ও গ্যাসের ভান্ডারের সন্ধান পায় ওএনজিসি। এই খনিজ তেল উৎপাদিত হলে যেমন অপর দেশের প্রতি আমাদের নির্ভর ও ভরসা অনেকটাই কম করতে হবে পাশাপাশি অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে উঠবে ভারত। তেমনি বাড়বে কর্মসংস্থান ফলে আর্থিক উন্নতি ও এলাকার উন্নয়ন গড়ে উঠবে রাজ্য জুড়ে। ২০১৮ সালে গোটা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করে রানাঘাটের এই খনিজ তেলের ভান্ডার আবিষ্কার করেন ওএনজিসি। এরপর ২০২১ সালে তারা এখান থেকে চলে যায়।
তেল ও গ্যাস উত্তোলনে দেরি হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেন তিনি। তাঁর প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানান, বর্তমানে রানাঘাটে অনুসন্ধানের কাজ শুরু করতে আগ্রহী কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য পাইপলাইন বসানো থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধানের কাজ যতটা এগিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলেছে কেন্দ্র। পরিবেশগত এবং অন্যান্য ছাড়পত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। আর সেই ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়। যার কারণে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে এই খনিজ তেল ও গ্যাস উৎপাদনের কাজ।
যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
ভিডিও দেখুনঃ-