
অনুসুয়া সিনহা,দুর্গাপুর:এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান।রানাঘাট ব্যাংক ডাকাতির তদন্ত শুরু করার পর বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডাকাতির মূল পান্ডা কুন্দন সিং আসানসোলের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের সঙ্গে যুক্ত বলে অনুমান পুলিশের । আবার শিল্পাঞ্চলে কান পাতলেই কুন্দন সিং এর সঙ্গে শোনা যাচ্ছে সুবোধ সিং,পাপ্পু চৌধুরীর নাম ও। ২০১৮ সালে ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগে সুবোধ সিংকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ।অপরদিকে পাপ্পু চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতি,কিডন্যাপিং সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে । এই দুজন নাকি আসানসোল জেলের ভিতরে রাজু খুনের জন্য রেকি দিয়েছিল,বলে সূত্রের খবর। কিন্তু আসল প্রশ্ন হল কে দিয়েছিল রাজু ঝাঁকে খুন করার সুপারি ?
রাজু খুনে জড়িত সন্দেহে এর আগে আরেক কয়লা মাফিয়া নারান খাড়কারের গাড়ির চালক অভিজিৎ মন্ডল সহ কয়েকজনকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয় । এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক লক্ষন কুমার ঘরুই বলেন।রাজু ঝা খুন প্রকৃত দোষীদের ধরতে পুরোপুরি ব্যর্থ পুলিশ।এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআই কে দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত ২০২২ সালের পয়লা এপ্রিল দুর্গাপুরে নিজের হোটেল থেকে বেরিয়ে কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে যাচ্ছিলেন রাজু ঝা।সাথে ছিলেন গরু পাচার মামলায় ফেরার লতিফ এবং রাজু ঘনিষ্ঠ ব্রতীন।যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে রাজু ঝার গাড়ীকে ঘিরে কার্যত পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি চালাতে থাকে আততায়ীরা।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা রাজু ঝা এর।।তারপরে তৈরী হয় সিট।কিন্তু
রাজু খুনের ৫ মাস পের হয়ে গেলেও মূল অপরাধীকে ধরতে পারেনি সিট।।স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কয়লা মাফিয়া নারান খাড়কারের নির্দেশেই কি তার ড্রাইভার অভিজিৎ মন্ডল জড়িয়ে পড়েছিল এই ঘটনায়? তাহলে নারানের কি স্বার্থ ছিলো? শুধুই ব্যাবসায়িক পুরানো দ্বন্দ্ব? নাকি কয়লা সাম্রাজ্যের কোনো নতুন সমীকরণ কাজ করেছে এই খুনের পিছনে?
কুন্দন সিং এর গ্রেফতারীর সঙ্গে সঙ্গে আবারও এই প্রশ্ন গুলো সামনে চলে এলো।