
বিক্রমাদিত্য বিশ্বাস,রায়গঞ্জ:
শনিবার সকাল থেকে শুরু হলো রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়ে পাখি গণনার কাজ। । মূলত গাছ পিছু কতগুলি পাখির বাসা রয়েছে তার সাথে চারটি অর্থাৎ বাবা মা এবং দুটি শাবক এই রেসিওতে পাখি গুণে মোট পাখি গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ কুলিক ফরেষ্টের রেঞ্জার প্রমিকা লামা।
পশ্চিমবঙ্গের কুলিক পাখিরালয় হল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শামুকখোল পাখির পাখিরালয়। এখানে ওপেন বিল স্টক, নাইট হেরন, কর্মোরেন্ট, এগরেটের মত পরিযায়ী পাখিদের সাথে প্রচুর দেশীয় পাখির ভিড় দেখা যায়। গতবছর রায়গঞ্জ কুলিক পাখিরালয়ে মোট পরিযায়ী পাখি এসেছিল ৯৯৩৯৩টি। ২০২০ সালে এই অরণ্যে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ছিল ৯৯৬৩১ টি এবং ২০২১ সালে মোট সংখ্যা ছিল ৯৮৭৩৯টি। বিগত কয়েকমাস ধরে কম বৃষ্টিপাতের কারণে এবছর পাখির সংখ্যা কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাখি গননায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকরা।
এ বিষয়ে বনদফতর জানিয়েছে যেহেতু ইগরেট ও কর্মোরেন্ট নামক পরিযায়ী পাখিরা আগে অভয়ারণ্য ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তাই এবছর সুদর্শন পুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্রের পড়ুয়াদের নিয়ে কিছুদিন আগে পাখি গণনাও করা হয়েছে। তবে সামগ্রিক ভাবে কম পাখির আগমনের কারন হিসেবে খরা পরিস্থিতিকেই দায়ী করলেন বন আধিকারিকেরা।