
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ প্রেমে প্রত্যাখ্যানে অপহরণ ! এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দরজায় অসহায় বাবা। অভিযোগ, ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালত জানিয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে অবিলম্বে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। যদি নাবালিকা উদ্ধারে সিআইডি ব্যর্থ হয় তাহলে বিকল্প রাস্তা ভাববে আদালত।
পূর্ব বর্ধমানের বছর ১৬ র এক নাবালিকা অপহরণের অভিযোগে আদালতে নাবালিকার বাবা। তাঁর অভিযোগ, গত ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে তাঁর মেয়ে নিখোঁজ। অভিযোগের তীর স্থানীয় সুজাপুরের বসিন্দা অমৃত ঘোষের ছেলে পরিতোষের বিরুদ্ধে। সেই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন বাবা। এর আগে একাধিকবার তাঁর মেয়ে উত্তেজিত করা হত বলে অভিযোগ বাবার। আরও অভিযোগ, এনিয়ে পুলিশের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানালে, পুলিশ শুধুমাত্র একটি এফআইআর রুজু করে এড়িয়ে গিয়েছে। ঘটনার পরে ছয় মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও মেয়ের সন্ধান মেলেনি। তাই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অসহায় বাবা।
আদালতে পুলিশের দাবি, তারা নানান জায়গায় সন্ধানের চেষ্টা করেছে। এমনকি অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদেরও জেরা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু কোথাও সন্ধান মেলেনি।
পুলিশের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিযুক্ত পরিতোষের পরিবারের লোকেদের আদালতে তলব করে। কিন্তু তারা উপস্থিত হয়ে জানিয়ে দেয় নিখোঁজের পর থেকে পরিতোষের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই। তারাও খোঁজ করে কিছু জানতে পারেনি। এর পরেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিআইডি তদন্তের নির্দেশে দেন। সেই সঙ্গে বিচারপতি জানিয়ে দেন যদি পরিতোষ স্বেচ্ছায় সিআইডি বা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করে তবে তাঁর অপরাধের গুরুত্ব লঘু করে গোটা বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।