
ওঙ্কার ডেস্ক : আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর সামনে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ. উঠেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ. এবার আর জি কর হাসপাতালে থ্রেট কালচারের নামে কী চলেছে, তা অবশেষে সামনে এসেছে তদন্তে. তার প্রেক্ষিতে ৫৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে কলেজের আভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি.
থ্রেট কালচারের নামে যা যা চলতো আর জি করে-
– পরীক্ষায় ফেল করিয়ে টাকা আদায়।
– হস্টেল থেকে বার করে দেওয়ার হুমকি।
– রাত ৩ টেয় ডেকে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার।
– জোর করে রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ানো এবং তাদের মিছিলে যেতে বাধ্য করা।
– ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে বয়স কমন রুমে ডেকে নিয়ে Ragging।
– ক্যাম্পাসে যৌন নির্যাতন এবং অসদাচরণ।
– গভীর রাতে জুনিয়রদের মাদক এবং মদ কিনতে বাধ্য করা।
– কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে টাকা তোলা।
– টাকার বিনিময়ে ইন্টার্ন ও হাউস স্টাফদের ডিউটি শিফট বদলানো।
– ইন্টার্নশিপ কমপ্লিট করা আটকে দেওয়ার হুমকি।
– ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে FIR। যৌন নির্যাতনের মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি।
– বাবা-মায়ের নাম করে কুৎসিত গালাগাল। মানিকতলা হস্টেলে থ্রেট-বিরোধী ছাত্রদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ৫৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তদন্তে থ্রেট কালচারের মূল মাথা হিসেবে নাম উঠে এসেছে-
ডঃ সৌরভ পাল ( সিনিয়র রেসিডেন্ট), ডঃ আশিস পাণ্ডে ( হাউস স্টাফ), ডঃ অভিষেক সেন ( হাউস স্টাফ), ডঃ আয়ুশ্রী থাপা ( হাউস স্টাফ), নির্জন বাগচী ( ইন্টার্ন), শরীফ হাসান ( ইন্টার্ন ), নীলগ্নী দেবনাথের ( ইন্টার্ন). এছাড়াও নাম রয়েছে অমরেন্দ্র সিং, সৎপল সিং, তনভীর আহমেদ কাজীর.