
ইন্দ্রানী চক্রবর্তী:সপ্তমীর দুপুরে আলিপুর আদালতে পেশ করা হচ্ছে ষষ্ঠীর রাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবাদী ছাত্রযুবরা। বুধবার রাতে ত্রিধারা থেকে আটক করা হয়েছিল মোট ২৯ জনকে। আটক করার পর তাঁদের প্রথমে রবীন্দ্র সরোবর থানা এবং তারপর লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতারাতি ভীড় জমে যায় বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটে। ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে চলে আসেন আন্দোলনকারীরা। মধ্য রাত্রে ২৯ জনের মধ্যে ২০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন। বাকী ৯ জনকে আজ পেশ করা হচ্ছে আলিপুর আদালতে।
ঘটনা চক্রে সেই একই সময় মুখ্যসচিবের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যসচিবের সামনে তুলে ধরেছিলেন তাদের সাথীদের গ্রেফতারির কথা। কী আলোচনা হয়েছে তা এক রাশ অসন্তোষের সাথে আজ অনশন মঞ্চ থেকে ঘোষণা করলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা করে জানান, তারা আলিপুর আদালতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। অনশন মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়, “গতকাল রাতে আমাদের সাথীরা ত্রিধারা সম্মীলনীর সামনে জাস্টিসের স্লোগানিং করতে গিয়ে গ্রেফতার হন। তাদের আজ আলিপুর জজ কোর্টে পেশ করা হবে। আমরা আইনী লড়াই দিতে আলিপুর জজ কোর্টে যাচ্ছি। আপনারা যারা উপস্থিত রয়েছেন সম্ভব হলে আলিপুর আদালতে আসুন।”
অনশন মঞ্চ থেকে আরও ঘোষণা করা হয়, ” গতকাল বৈঠক চলাকালী ন আমরা মহামান্য মুখো সচিব কে জানিয়েছিলাম যে আমাদের কয়েকজন সাথী ত্রি ধারা সম্মিলানিতে স্লোগানিং করতে গিয়ে আটক হয়েছেন। উনি উত্তরে বললেন ‘হ্যাঁ আমরা খবর নিয়েছি কিন্তু ওরা তো ডাক্তার নয়।’ আমরা সাথে সাথেই এর বিরোধিতা করি এবং প্রশ্ন করি যে ডাক্তার ছাড়া সাধারনের কি জাস্টিস চাওয়ার অধিকার নেই? মুখ্য সচিবের এই বক্তব্যের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনের মধ্যে বিভাজন তৈরির যে ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চলছে তাকেও আমরা ধিক্কার জানাই।”
মুখ্য সচিবের সাথে বৈঠকের বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, আন্দোলনে এই বিভাজন কেন?