
উজ্জ্বল হোড়, ওঙ্কার বাংলাঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বঙ্গরত্ন ফিরিয়ে দেবার ঘোষণা করলেন অন্যতম সাহিত্যিক তথা গান্ধীবাদী সমাজ কর্মী পরিমল দে। ওঙ্কার বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন আরজি কর কাণ্ড আমার বিবেককে বার বার দংশন করে চলেছে, তাই এই সিধান্ত।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সবর গোটা দেশ। প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে লাগাতার। জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতিতে গেছেন। আমজনতা তো বটেই, কার্যত সব মহল প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। আরজি কর কান্ড নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। এই অবহে রাজ্য সরকারের দেওয়া বঙ্গরত্ন ফিরিয়ে দেবার ঘোষণা করলেন। অন্যতম সাহিত্যিক তথা গান্ধীবাদী সমাজ কর্মী পরিমল দে। তিনি বলেন, “আর জি কর কাণ্ড , আমার বিবেককে বার বার দংশন করে চলেছে, যে কলকাতাকে কবি জীবনানন্দ দাস বলেছিলেন কল্লোনিনি তিলোত্তমা, সেই কল্লোনিনি তিলোত্তমা হত্যার পর নিজের বিবেক আমাকে কুরে খাচ্ছে।”
বাপু ১৫০, অপরাধীর জবান বন্দী, ইন্দিরা গান্ধি : প্রয়াগ থেকে শান্তিবন, হিমালয় ও গান্ধিজি, আত্মজীবনীর গান্ধি’র মত গ্রন্থের লেখক পরিমল দে। বাংলা, হিন্দী, ইংরাজি ভাষা ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় তার বই অনুবাদ হয়েছে। ওঙ্কার বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাহিত্যিক বলেন, সাহিত্যের জন্য “২০১৬ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে বঙ্গরত্ন সন্মান প্রদান করে ছিলেন, আর জি কর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তথা স্নাতক বিভাগের ছাত্রীকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টার বিরূদ্ধে আমার এই সিদ্ধান্ত।”
সাহিত্যিক তথা গান্ধীবাদী সমাজ কর্মী পরিমল দে তার সাহিত্য চর্চার জন্য দেশ বহু সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। এবার আরজি কর কান্ড নিয়ে তার এই সিন্ধান্ত কে সাধুবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী থেকে আম জনতা।