
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কর্মবিরতির জেরে নাকি হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত , এক মাসে ২৩ জন রোগী মৃত্যুর পরিসংখ্যান সর্বোচ্চ আদালতে তুলে ধরেছে দামী উকিলের মুখ দিয়ে রাজ্য। এই অবস্থায় পরিসংখ্যা দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অবস্থার বেহাল ছবি তুলে ধরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ঠিক কতজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন তারা। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পাবলিক ডোমেনে পরিসংখ্যান দিয়ে যেটা তুলে ধরা হয়েছে তাতে আর যাই হোক, কপিল সিব্বলের মতো প্রবীন আইনজীবীর কিছুটা হলেও পেশাগত দক্ষতায় দাগ লেগেছে এমনটাই মনে করছেন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে দীর্ঘ্য সময় নারাঘাটা করা আইনজীবীদের একটি বড় অংশের।
জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথমেই যে তীর নিক্ষেপ করে রাজ্যের সাস্থ্য দফতরের সচিবকে ঘায়েল করেছেন সেটি হলো , জুনিয়র ডাক্তাররা গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল স্তম্ভ নন আমরা শিক্ষানবীশ। আর এতেই সামনে ওঠে আসছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কোমায় যেতে বসা গ্রাফ। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ ব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে তাহলে বলাই যায় সিনিয়ার ডাক্তার নার্স এবং সাস্থ্য কর্মীদের অভাব রয়েছে। আর এটাই ইঙ্গিত দেয় সাস্থ্য দফতরের কোমায় যাবার অবস্থার।
। পাবলিক ডোমেনে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালে সংখ্যা ২৪৫ টি। তার মধ্যে মেডিকেল কলেজ ২৬ টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকদের সংখ্যা ৭৫০০ এর বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গের রেজিস্টার চিকিৎসক মাত্র ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিকেল কলেজের সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করলেও স্বাস্থ্য পরিসেবা কিভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে? চার বছর আগে ২০২০ সালে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর অব্দি সরকারি হাসপাতাল গুলিতে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪২৯। চার বছর পর রোগী মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে তিন ভাগের এক। ২০২১ সালে হাসপাতালের তথ্যসূত্র মতে ৯ আগস্ট থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর এক মাসে রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৮। ২০২২ সালে ৫৯ এবং পরের স্বাস্থ্য বছরে সংখ্যাটা ৩৮। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে সূত্র তুলে ধরে উত্তর চেয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। চারিদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ খোলা হচ্ছে। অথচ পরিষেবা তথৈবচ। যথেষ্ট সংখ্যক ডাক্তার , স্থায়ী নার্স নেই কেনো। অধিকাংশ জায়গাতে সিনিয়র ফ্যাকাল্টি নামমাত্র।
এত কিছু নেই এর পর ২৩ জনের মৃত্যুর জন্য জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকে দায়ী করার উদ্দেশ্যে কি সেটা আর জি কর কাণ্ডের এক মাস অতিক্রান্ত হওয়া এবং এই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে আন্দোলনরত চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে ভেঙে দেবার চেষ্টা নয়কি? পাশাপাশি দুর্নীতিতে আদ্যপান্ত নিমজ্জিত রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠে বলে সোস্যাল মিডিয়াতে দাবি জুনিয়ার ডাক্তারদের সংগঠণের সদস্য কিঞ্জল নন্দ রা ।