
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সরগরম সন্দেশখালি। ফের সন্দেশখালিতে ডিজি। সন্দেশখালি 2 নম্বর ব্লকের এক নম্বর বেড়মজুর গ্রামের কাছারি অঞ্চল থেকে শুরু করে একাধিক গ্রামে ঘুরছেন তিনি। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ সম্পরকে জানেন তিনি। সন্দেশখালি তে বানানো হচ্ছে একাধিক পুলিশ ক্যাম্প। সেখানেই নির্যাতিত গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন বলে খবর । এদিন গ্রামবাসীদের প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজিব কুমার আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার পরামর্শ দেন।
শুক্রবার ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে পরে সন্দেশখালি। সকাল থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। এদিন সন্দেশখালীর বেরমজুর কাছারিপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা নিজেদের আলঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীদের নামে দোষ চাপাচ্ছে। তারই প্রতিবাদে সরব হয়ে লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে গ্রামের মহিলা, পুরুষ সবাই একত্রিত হয়ে পথে নামেন। গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ সেখ সাহাজানের ভাই সিরাজুদ্দিন এবং তাদের অনুগামীরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শতাধিক বিঘা চাষের জমি কেড়ে নিয়ে মাছের ভেড়ি করে রেখেছে। সেই জমি ফেরতের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সন্দেশখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয় এ ডি জি, দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারকে।এদিন সন্দেশখালীর বেড়মজুর গ্রামে শেখ শাজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। কলাগাছি নদীর তীরবর্তী সাধারণ চাষীদের সমস্ত জমি জোর করে ভয় দেখিয়ে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অজিত মাইতির বিরুদ্ধে ।