
শেখ এরশাদ,কলকাতা: এবার সব স্বেচ্ছাচারিতার দিন শেষ। বিলাসী জীবন থেকে পরতে হল জেলজীবনে। সঙ্গে সাথী হলেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর চিকিৎসা চলছে এখন প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে।
তবে, জেলখানাতে গিয়েও নিজের বিলাসী জীবনকে বাদ দিতে পারলেন না। সেখানেও সন্দীপ বাবুর আবদার হল বিলাসবহুল ভোজনের জন্য। রাতের খাবারে জুটল কেবল মোটা রুটি আর কুমড়োর ঘ্যাঁট। সেই দেখে সন্দীপ ডিম সিদ্ধর দাবি করলেন। এমনটাই আর্জি জানালেন প্রেসিডেন্সি জেলে। তার এমন দাবিতে হতবাক জেল রক্ষীরা। সন্দীপের এই কথা শুনে রক্ষীরা তাকে জানালেন, আপনার এই আবদার রাখা সম্ভব নয়।
এই শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সন্দীপ। রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে গেলেন সন্দীপ ঘোষ। তিনি চেঁচিয়ে উঠে জানালেন, এই খাবার কি খাওয়া যায়? অসম্ভব এই খাবার মুখে তোলা যাচ্ছে না। জেলের সকলেই যখন এই খাবার খাচ্ছেন তখন আপনার তাতে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। আপনাকে সেই খাবারই দেওয়া হয়েছে যা সকলেই খাচ্ছে। অতএব, আপনার জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা করা যাবে না। এখানে যতদিন থাকবেন ততদিন এখানকার নিয়ম মেনেই আপনাকে চলতে হবে। এরকটাই পরিস্কার জানিয়ে দেন কারারক্ষীরা সন্দীপ ঘোষকে।
সিবিআই তাঁকে আর জি কর কাণ্ডের জেরে দুই দফায় গ্রেফতার করেছে। এখন তাঁর ঠিকানা শহর কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। এছাড়াও আর্থিক দুর্নীতির মতো বহু দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সন্দীপের। খেতে হয়েছে পাবলিকের হাতে চড়ও।
ভেবেছিলেন এই যাত্রায় তার কাণ্ডকারখানা থেকে পার পেয়ে যাবেন। কিন্তু, শেগূড়ে বালি। আর জি করের ঘটনার জেরে সব চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেলো। রাজার হালে থাকা আর হল না। ভেবেছিলেন এতদিন যা করে এসেছেন, একই ভাবে জেল বন্দী হলেও সেখানে খাটাবেন। কিন্তু, সেই স্বপ্নকে ভঙ্গ করলো জেল রক্ষীরা। তারা জানিয়েছে, এখানে থাকতে গেলে এখানকার নিয়ম মেনেই আপনাকে চলতে হবে, আপনার কোনো আবদার এখানে রাখা যাবে না।