
সম্পূর্ণা সেনগুপ্ত ওঙ্কার ডেস্ক: ডাইনোসর রা না থাকলে কী বেশিদিন বাঁচতো মানুষ? অন্তত আধুনিক কিছু গবেষকদের গবেষণা এমনই দাবী করছে। সেই প্রাগৈতিহাসিক প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে আজ অবধি নানান সময়ে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করেছে নানান প্রজাতি। কিন্তু, মানুষের জন্মের পর পৃথিবীর বুকে এক এবং অদ্বিতীয় হয়ে থেকে গেছে মানুষ। বুদ্ধির দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে থাকায় যুগের পর যুগ ধরে সাফল্যের পতাকা হতে এগিয়ে চলেছে এই মনুষ্য জাতি। কিন্তু, বিজ্ঞান বলছে, অন্য কথা!! আয়ুর দিক থেকে অন্যান্য অনেক প্রজাতির থেকেই কিন্তু বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি আমরা মানুষেরা । আর এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মেসোযোয়িক যুগের বাদশা ডাইনোসর রা। সাম্প্রতিক কালের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে ডাইনোসর রা না থাকলে মানুষের গড় আয়ু হতো ১২০-১৫০ বছর। কিন্তু কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আগে একটু বুঝে নিতে হবে লংজিভিটি বটলনেক থিওরি।
লংজিভিটি বটলনেক
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জো পেড্রো দ্য মেগালাসের গবেষণার ফল এই লংজিভিটি বটলনেক বা দীর্ঘায়ু বাধা তত্ত্ব। এই তত্ত্ব স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সল্পায়ু এবং তার সাথে ডাইনোসরদের ১০০ মিলিয়ন বছর ধরে পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকার মধ্যেকার সম্পর্ক এবং তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। অধ্যাপক ডি মেগালাস এই তত্ত্বে তুলে ধরেছেন যে মেসোজোয়িক যুগে, ডাইনোসরদের রাজত্বকালে তারা খাদ্য শৃঙ্খলের সর্বচ্চো শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাদের থেকে আকারে ছোটো অন্যান্য সমস্ত প্রাণীদের তারা শিকার করে নিজেদের খাদ্যে পরিণত করতো। ফলত স্তন্যপায়ী প্রাণীরা দ্রুত প্রজননের জন্য ক্রমাগত চাপের সম্মুখীন হয়েছিল, যা ১০০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে টিস্যু রিবার্থ এবং গ্রোথের সাথে সম্পর্কিত প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি, দীর্ঘায়ু এর সাথে যুক্ত জিনগুলির ক্ষতি করে নিষ্ক্রিয়তার দিকে পরিচালিত করে। এই কারনে জন্যই ধীরে ধীরে বংশানুক্রমে জিনের বদলে আখেরে আয়ু কমেছে মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী দের।