
ওঙ্কার ডেস্ক : মিষ্টি ভালবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর. আর তা যদি হয় শক্তিগড়ের ল্যাংচা, তাহলে তো আর কথাই নেই. কিন্তু, সেই ল্যাংচা কি আদও স্বাস্থ্যকর, উঠছে প্রশ্ন.
শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব থেকে বস্তা বস্তা ল্যাংচা তুলে নিয়ে গিয়ে জেসিবি দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে. কারণ জানলে চোখ কপালে উঠবে.
গোডাউনে বস্তা বস্তা ফাংগাসে ভরা আধকাঁচা ল্যাংচা. খবর পেয়ে বর্ধমানে শক্তিগড়ে ফের হানা প্রশাসনিক আধিকারিকদের. জেসিবি দিয়ে নষ্টও করা হল খাবারের অযোগ্য ল্যাংচা।
বৃহস্পতিবারের পর ফের শনিবার বর্ধমানের বিখ্যাত শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলিতে যৌথভাবে অভিযান চালায় স্বাস্থ্যদপ্তর, জেলা পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর ও লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তর। এদিন অভিযানে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানের রান্নাঘর এখনো অস্বাস্থ্যকর, মিষ্টির কড়াই আ-ঢাকা, কারিগরদের কোনও স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় না। নেই সামান্য পরিচ্ছন্নতাও। কোথাও আবার বিষাক্ত রং মেশানো হচ্ছে মিষ্টিতে। এছাড়াও অনেকগুলি দোকানের গুদামে হানা দিয়ে সাত-দশদিন আগে থেকে ভেজে রাখা,ফাংগাস পরে যাওয়া ল্যাংচা মেঝের উপর ডাঁই করে রাখা অবস্থায় দেখতে পান আধিকারিকরা।
এই টিমের প্রাথমিক অনুমান, এই সমস্ত বাসি মিষ্টি ২১-শে জুলাই পুনরায় ভেজে, রসে ডুবিয়ে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। কারণ ২১ শে জুলাই বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়িতে করে জাতীয় সড়ক ধরে বহু তৃণমূলকর্মী আসা-যাওয়া করেন এবং এরজন্য শক্তিগড়ে ল্যাংচার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা রেখে বাকী প্রায় তিন কুইন্ট্যাল এই ধরণের ভাজা ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করে তা পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় সাতজন দোকানদারকে আইনী নোটিশ ধরানো হয়েছে, কয়েকজনের বিরুদ্ধে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, সমস্ত অসাধু দোকানদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ মামলা রুজু করা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকের দশ লক্ষ টাকা অব্দি জরিমানা ও সাত বছর পর্যন্ত হাজতবাস বা উভয়ই হতে পারে। এদিন ক্রেতাদের শক্তিগড়ে ল্যাংচা কেনার আগে যথেষ্ট সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা।