
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি জেলায় নেওড়া নদীর তীরে অবস্থিত লাটাগুড়ি। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের খুব কাছেই এই ছোট্ট শহরটি। উত্তরবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম গন্তব্য এই জনপদ। তবে ডুয়ার্সের ফুসফুস লাটাগুড়ি জঙ্গল কেটে বাণিজ্যিক আবাসন তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরেই পরিবেশ কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে আন্দোলন চলে আসছিল। সেই আন্দোলনের সমর্থনে গত বছর লাটাগুড়ি ছুটে এসেছিলেন ভারতের অন্যতম সমাজকর্মী এবং নদী আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকর। ২০২৩-এ এই নির্মাণের বিরূদ্ধে সরব হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এবার অবশেষে ডুয়ার্সের ফুসফুস বলে বিখ্যাত লাটাগুড়ির জঙ্গলে বেসরকারি আবাসন নির্মাণের কাজের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হল। সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে এমনটাই জানিয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
উল্লেখ্য, লাটাগুড়িতে আবাসন নির্মাণে তাদের দিক থেকে কোনও বাধা নেই বলে গত বছর জানিয়েছিল রাজ্য বন দফতর। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে রাজ্যের বন দফতরের বক্তব্য ছিল, লাটাগুড়ির যেখানে ‘বন্য আবাস’ নামে বাণিজ্যিক আবাসন প্রকল্পটি গড়ে উঠছে সেই এলাকাটি গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে তিন কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। এবং গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং লাগোয়া এলাকাকে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পরিবেশের দিক থেকে ‘সংবেদনশীল এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেনি। সে কারণে, ওই এলাকায় নির্মাণে বাধা নেই বলে দাবি বন দফতরের। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হওয়ায় এবার এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার।