
নিজস্ব সংবাদদাতা : সোদপুরের তরুণীর উপর অত্যাচার ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসতেই অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও আরিয়ান খানের খোঁজ চালাচ্ছিল হাওড়া পুলিশ। দীর্ঘ পাঁচ দিন পর অবশেষে আরিয়ানের হদিশ মিলল। কলকাতার গল্ফ গ্রিন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল শ্বেতা পুত্র আরিয়ানকে। তাঁকে ডোমজুর থানায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সোদপুরের তরুণীর পরিবার মেয়ের উপর যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করতে পুলিশের দারস্থ হবার পর হাওড়ার পর্ণকাণ্ডের অভযুক্ত শ্বেতা ও আরিয়ান খান গা ঢাকা দিয়েছিল। দীর্ঘ পাঁচদিন তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করে কলকাতার গল্ফ গ্রিন থেকে আরিয়ান খানকে পাকড়াও করে পুলিশ। শ্বেতা খানের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য পর্ণকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা খানের বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি করার অনুমতি পেয়েছিল পুলিশ। সেই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক তদন্তের জন্য খুব আশাপ্রদায়ী হবে বলে মনে করেছিলেন হাওড়া থানার পুলিশ।ওই ফ্ল্যাটে সোদপুরের ঐ তরুণীর উপর অত্যাচারের কোনো প্রমান পেতে পারে পুলিশ, এমনটাই অনুমান তাঁদের। ইতিমধ্যে শ্বেতার মা কে আটক করেছে ডোমজুর থানার পুলিশ। সেখানে তাঁকে পুলিশি জেরায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেয়ে কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছে সে কথাও জানবার চেষ্টা করছে পুলিশ। শ্বেতা খানের একটি ৩ বছরের মেয়ের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। কোনো এক আত্মীয়ের বাড়িতে মেয়েকে রেখেই পালাতক মা। শ্বেতার প্রথম স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে অভি্যোগ আনেন, শ্বেতার জন্যই তাঁদের আরেক মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল।
অন্যদিকে সোদপুরের ওই নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ড থেকে আইসিইউ তে ভর্তি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তরুণীর মাথায় ও পায়ে যখম গুরতর।