
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘আবেগের বশে বলে ফেলেছি’। শোভনের ডিভোর্স মামলায় কল্যাণের অভিযোগ প্রসঙ্গে শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে ডিভোর্স না দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নিজের দলের সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার আদালতে দাঁড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আবেগের বশে বলে ফেলেছি’। তবে এদিন আদালত চত্বরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে মুখ খোলেননি রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তার কৌশলী।
গত আট বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। নিম্ন আদালত ছাড়িয়ে সম্প্রতি ওই মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচ্ছেদ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। হাইকোর্টে শোভনের আইনজীবী তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি অভিযোগ করেন, এই মামলা প্রসঙ্গে আদালতের বাইরে রত্না তাঁকে নানাভাবে আক্রমণ করছেন। এ নিয়ে দলের বিধায়ক রত্নার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মামলায় রত্নার কৈফিয়ত তলব করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শোভনের হয়ে হাইকোর্টে ডিভোর্স মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রত্না প্রভাবশালী, ইচ্ছে করে শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছে না’!
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ তার এই মন্তব্যের পর তাকে নিশানা করে আদালতের বাইরে মুখ খোলেন রত্না। কল্যাণের দাবি, আদালতের বাইরে রত্না চট্টোপাধ্যায় নাকি তাকে পাল্টিবাজ বলেছেন। এরপরই এ বিষয়ে রত্নার কৈফিয়ত জানতে চায় আদালত। তাতেই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন রত্না। আদালত সূত্রে খবর, এই ধরনের মন্তব্য পুনরায় না করার জন্য তাঁকে সতর্কও করে দিয়েছেন বিচারপতি।