
উজ্জ্বল হোড়,জলপাইগুড়ি:
বিহার থেকে ভাড়াটে খুনীর দল এনে মামাকে খুন করালেন ভাগ্না! চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির ধুপগুঁড়িতে। গ্রেফতার খুনি ভাগ্না সহ ৬ জন। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আংরাভাষা সজনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মেহতাব আলম। এরপর রাত আনুমানিক ২ টা নাগাদ কয়েকজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহতাব আলমের ওপর চড়াও হন তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন মেহতাব আলম। স্বামীকে বাঁচাতে এসে ঘটনায় জখম হন মৌমিতা দাস। তবে কোনমতে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় মেহতাব আলমের দুই সন্তান। এরপর স্থানীয়রা সেখানে ছুটে আসে। ততক্ষণে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পাওয়া মাত্র রাতেই ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। এরপর রাতভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সকাল পর্যন্ত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মেহতাব আলমের ভাগনা আফতাব হোসেন সহ ছয়জনকে আটক করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা বলে সুত্র মারফত জানা গেছে।এদিকে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মেহতাব আলমের দুই সন্তান। পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যেও। অন্যদিকে মেহতাব আলমের স্ত্রী মৌমিতা দাস বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, কি কারনে এই ঘটনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাভালে শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন সম্পত্তির বিবাদ নিয়েই এই খুনের ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নেতৃত্বে তদন্ত চলছে।।