
ত্রয়ণ চক্রবর্ত্তী: মধু পাচ্ছেন না বিধানসভার সদস্যরা। ভরা বিধানসভায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন শাসকদলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। সটান জবাব দিয়ে মন্ত্রী বললেন, “ফান্ড নেই। কোথা থেকে দেবো। কেন্দ্র কোনও টাকা পাঠচ্ছে না।” এদিন দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাবের সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উত্তর দিচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎই অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে তাপস রায় বলেন “বনমন্ত্রী আগে মধু দিন। মেম্বাররা অনেকবার বলেছেন। আগে মধু পাওয়া যেতো। এখন পাওয়া যাচ্ছে না ” এরপরই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়ে দেন “কোথা থেকে দেবো।” কেন্দ্র টাকা না পাঠানোর জন্য তহবিল ফাঁকা বলেও জানান তিনি
এদিকে মধু নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য হলেও গম্ভীর বিধানসভায় হাসির রোল ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রসিক বিধায়ক বলেন, “সত্যিই মধুর প্রয়োজন রয়েছে। আগে বিধানসভার সদস্যদের একটা বড় অংশের মধ্যে ‘সেন্স অফ হিউমার’ ছিলো। দিন দিন সেটা কমে আসছে। হাসি মুখে অনেক কথা বলা যায় আবার মিস্টি কথায় তাঁর জবাবও দেওয়া যায়। কিন্তু দিন দিন এটা কমে আসছে। সদস্যদের অনেকের ধৈর্য অনেক কম। শব্দ ব্যবহারেও অসৌজন্যতা দেখা যায়। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই মধুর প্রয়োজন আছে বৈকি৷ শোনা যায় মধু খেলে নাকি মিস্টি কথা বের হয়।”
চাহিদা থাকায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। তবে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা বরাবরই বেশি। সেই মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে বেআইনি পথে হামেশাই ঢুকে পড়ে অনেক মধু সংগ্রহকারীরা। মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেক সময়েই বিপদে পড়তে হয় তাঁদের। নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে ধরা পড়ে দন্ডিত হতে হয়। আবার মধুর জোগান দিতে অনেক বেসরকারি কোম্পানিও মৌমাছির চাষ করে থাকে। বর্তমান সময়েও দিন দিন মধুর চাহিদা উর্ধমুখি। তবে মধু খেলেই যে মিথভাষী হওয়া যায় এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে তার কোনও প্রমান মেলেনি।