
অমিত কুমার দাস, কলকাতা : ২০১৬-র এসএসসি নিয়োগের পর এবার প্রশ্নের মুখে ২০১৪-র প্রাথমিক টেটে নিয়োগ. ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই রিপোর্টে ব্যাপক বেনিয়মের ইঙ্গিত। নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে বাইরের লোক নিয়োগ, ফেল করাদের পাস হিসেবে দেখিয়ে নিয়োগ সহ কি কি ভাবে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তার তথ্য বিচারপতি মান্থার এজলাসে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নিয়ে মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য জানানোর কথা ছিল। কিন্তু আজ আরও প্রার্থী মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান। আদালত সবাইকে মামলায় যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়।
এই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার উপরে ২০১৬, ২০২০, ২০২২, ২০২৪ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ হয়েছে। আদালত এদিনের পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উল্লেখ করে জানিয়ে দেয়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয় তাহলে এর উপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে। ফলে গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছে, তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হবে বলে আশঙ্কা আইনজীবীদের। আট সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি। তার আগে সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত.