
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় এক নম্বর নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্য। সিবিআই এর জমা দেওয়া চার্জশিটে এমনই দাবি করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। এই তদন্তে এবার নয়া তথ্য উঠে এলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। সিবিআই এর অভিযোগ, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্য নম্বর নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন।
গোয়েন্দাদের দাবি, পরীক্ষায় এক নম্বর নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আর এর ফলে বঞ্চিত হয়েছেন ১৫৮ জন চাকরিপ্রার্থী। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে এই দাবি করেছে সিবিআই। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার একটি প্রশ্ন নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন। দাবি করা হয়, বাংলা মাধ্যমের প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নের দুটি উত্তর সঠিক ছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিকল্প— উভয়ই সঠিক ছিল। তাই যে কোনও একটি পছন্দ নির্বাচন করলে নম্বর পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ যাঁরা প্রথম বিকল্প বেছে নিয়েছিলেন তাঁদেরকে নম্বর দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন নিয়ে যখন বিতর্ক তৈরি হয়, তখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যারা প্রথম বিকল্প বেছে নিয়েছিলেন তাদেরকে এক নম্বর দেওয়ার। তবে সেই সঙ্গে বেঁধে দেয় কয়েকটি শর্ত। যেগুলি হল, প্রথমত যাঁদের প্রশিক্ষণ রয়েছে, দ্বিতীয়ত, এক নম্বরের জন্য যারা পাশ করতে পারেননি, তৃতীয়ত, বাংলা মাধ্যমে যারা পরীক্ষা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানান, পর্ষদের নির্ধারণ করা শর্তে বাড়তি এক নম্বর পাওয়ার যোগ্য ছিলেন মোট ৪২৮ জন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু প্যানেল প্রকাশের সময় পর্ষদ ১৫৮ জন চাকরিপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে ২৭০ জনের নাম প্রকাশ করে।