
নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। খাতায় কলমে এই কর্মসূচি অরাজনৈতিক, কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে মঠ ও মন্দিরের মিলিত কর্মসূচি ও তাতে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন,তবে আলাদা মাত্রা নিতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের কর্মসূচি চলছে, মুলত মঠ ও মন্দিরের মিলিত মঞ্চের তরফে এই কর্মসূচি। যা অরাজনৈতিক বলেই মঞ্চের তরফে বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি তাদের হওয়ার কথা ২৪ ডিসেম্বর,কলকাতায়। শুক্রবার এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি উড়ে গেলেন দিল্লি। আর তারপরই অরাজনৈতিক এই কর্মসূচি রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়েছে। যদিও সুকান্ত মজুমদার বিমানবন্দরে বলেন, মঠ ও মন্দির প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছি। যাতে ২৪ ডিসেম্বর তিনি আসেন।
তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপি স্পষ্টত সংখ্যালঘু নয় সংখ্যাগুরুর ভোট সংগঠিত করার চেষ্টা করেছে। সেখানে গীতাপাঠের কর্মসূচি অরাজনৈতিক ব্যানারে হলেও আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ দৃঢ় করার চেষ্টা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এবার গীতাপাঠ। অরাজনৈতিক হলেও এর মাধ্যমেও মানুষের কাছাকাছি পৌছানোই লক্ষ্য পদ্ম শিবিরের। রাজনৈতিক মহলের মত এমনই।