
অপরূপা কাঞ্জিলাল: একের পর এক বিচ্ছেদ জল্পনায় জর্জরিত ফিল্মি দুনিয়া। সময়টা যেন ভালো যাচ্ছে না শিল্পী জগতের। ভালোবাসার সম্পর্কগুলিতে যেন নজর লেগে গিয়েছে। প্রেমের সম্পর্ক হোক বা দাম্পত্য বর্তমান সময়ে তা যেন আগলে রাখা যাচ্ছে না কিছুতেই। চতুর্দিকেই ভাঙ্গনের পরিস্থিতি। টলিউডের বোল্ড কাপল হিসাবে পরিচিত যীশু নীলাঞ্জনার দীর্ঘ কুড়ি বছরের দাম্পত্য প্রায় ভাঙ্গনের মুখে এমনটাই গুঞ্জন আর তারই মধ্যে বারবার সামনে আসছে ঋষি কৌশিকের দাম্পত্য অশান্তির ছবি। সামাজিক মাধ্যমে এসে ঋষি কৌশিকের বলা কথা সৃষ্টি করেছে ব্যাপক গুঞ্জন। এই নিয়ে বিভিন্ন মতামত উঠে আসছিল। অনেকেই বলছিলেন ঋষি কৌশিকের আসন্ন ছবির প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বলছেন আবার অনেকে বলছিলেন না এটা একান্তই ঋষি কৌশিকের বিবাহিত জীবনের বাস্তব ছবি। তবে এবার এই জল্পনা যে আসলে সত্যি তার যেন প্রমাণ করে দিলেন ঋষি কৌশিকের স্ত্রী দেবযানী। সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি জানিয়েছেন তিনি এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত বোধ করছেন। তিনি জানান ‘বিগত কয়েক দিন যাবৎ সমাজমাধ্যমে আমার স্বামীর কিছু পোস্ট নিয়ে আমাকে বার বার অবাঞ্ছিত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পুরো বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত কুরুচিকর, সম্মানহানিকর এবং আমি খুবই বিব্রত।এ বিষয়ে প্রথমেই আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি সম্পূর্ণ মিথ্যে, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অন্যায্য এবং কাল্পনিক। এগুলি করার একমাত্র কারণ আমার সামাজিক সম্মানহানি করা, আমার ক্ষতি করা এবং পোস্টদাতার নিজের নীচ উদ্দেশ্যসাধন করা।
দেশের আইনের প্রতি আস্থা রাখা কোনও ভদ্র মানুষের যদি আদৌ এ ধরনের কোনও অভিযোগ থাকে, তা হলে সেই সমস্যার সমাধানে কোর্টে যাবেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনগণের মতামত নিতে যাবেন না!যা ঘটানো হচ্ছে তা গর্হিত অপরাধ। আমার উপর দীর্ঘ দিন ধরে যে ধারাবাহিক অত্যাচার আর নিষ্ঠুরতা করে গিয়েছে, তার আরও একটি অধ্যায় এটি। আমার ধৈর্য আর সহনশীলতার অন্যায় সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে, তার অন্যায় দাবিগুলি যাতে মেনে নিই তার মরিয়া প্রয়াস চলছে।’ এই বিষয় নিয়ে তিনি আইনি পরামর্শ অর্থাৎ আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তাও জানিয়েছেন। দেবযানী বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবে খুব স্পষ্ট যে ঋষি কৌশিক যে ধরনের কথা সামাজিক মাধ্যমে এসে বলেছিলেন তা তার দাম্পত্য জীবনকেই ইঙ্গিত করেছে।। আর এবার একেবারেই স্পষ্ট টলিউডের আরও এক দম্পতির দাম্পত্যের রঙিন আকাশে ঘনিয়ে এসেছে দুর্যোগের কালো মেঘ।