
সূর্যজ্যোতি পাল, কোচবিহার: রেল অবরোধ কর্মসূচিকে সামনে রেখে বুধবার কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন কোচবিহারের জোড়াই স্টেশনে। এর ফলে বাতিল হয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, গ্রেটার কোচবিহার পিপল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচিকে সামনে রেখে, মঙ্গলবার রাত থেকেই হাজারে হাজারে কর্মী সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন আসাম-বাংলা সীমান্তবর্তী জোড়াই রেলওয়ে স্টেশনে। অনির্দিষ্টকালের এই অবরোধের কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি-গৌহাটি বন্দে ভারত, গৌহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত, বঙ্গাইগাঁও-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস এবং নিউ জলপাইগুড়ি-বঙ্গাইগাঁও এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ডিব্রুগড়-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দ বিহার-তৃণাচল এক্সপ্রেস, গৌহাটি-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস এবং কামাখ্যার রাজেন্দ্র নগর এক্সপ্রেসের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে বলে রেল বিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ কর্মসূচি। যার কারণে বেশিরভাগ ট্রেন আটকে থাকছে নিউ কোচবিহার এবং নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের মধ্যে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার বংশীবদন বর্মন বলেন, মূলত একটি দাবিকে সামনে রেখেই তাদের এই কর্মসূচি। কোচবিহার ‘গ’ শ্রেণীর বা ‘সি’ ক্যাটাগরির রাজ্য ছিল। অবিলম্বে সেই স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
১৯৫০ সালে ভারতভুক্তির চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার যখন পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা হিসেবে বিবেচিত হয়, সেই সময় কোচবিহারের উন্নয়ন সহ কোচবিহারবাসীর উন্নয়ন নিয়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল কোচবিহারকে ‘সি’ ক্যাটাগরির রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও তা নিয়ে কোনো হেলদোল নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই পুনরায় সেই দাবিকে সামনে রেখে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলাবাহুল্য, এর আগেও এই দাবিকে সামনে রেখে নিউ কোচবিহার স্টেশন অবরোধ করেছিল গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু তারা সফলতা পায়নি।