
অর্নব ঘোষ, নিজস্ব প্রতিনিধি: শহর কলকাতা থেকে চিরতরে উঠে যাচ্ছে ট্রাম! আর কোনোদিন হয়তো ঘণ্টা বাজিয়ে ট্রাম কে চলতে দেখা যাবেনা রাজপথে। গত সপ্তাহে পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ট্রাম বন্ধের কথা জানিয়েছেন। সেই থেকেই চলছে শহরজুড়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই আবহে সোমবার কলকাতায় দেখা গেলো ট্রাম তুলে দেবার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ। ১৫০ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব, চিরতরে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ট্রাম পরিষেবা তুলে দেওয়ার ঘোষণার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের পক্ষ থেকে সোমবার রাজাবাজার ট্রাম ডিপোর সামনে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড: পবিত্র সরকার,এ আই সি সি টি ইউ র রাজ্য সাধারন সম্পাদক বাসুদেব বসু, সিটুর রাজ্য সাধারন সম্পাদক অনাদি সাহু, সভাপতি সুভাষ মুখার্জি, এ আই ইউ টি ইউ সি র শান্তি ঘোষ, সহ প্রমুখ। পাশাপশি সমাবেশ থেকে এক স্মারক লিপি ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে পাঠানো হয়েছে আর একটি স্মারক লিপি ১ অক্টোবর পরিবহন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য স্মারক লিপিতে যে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়:
প্রথম – ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব, যাত্রী স্বাচ্ছন্দবাহী শ্রম নিবিড় ট্রাম শিল্প তথা পরিষেবা কোন অবস্থাতেই তুলে দেওয়া চলবে না।
দ্বিতীয়- ট্রাম কোম্পানির জমি বেসরকারি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া চলবে না।
তৃতীয় – ট্রাম কোম্পানির বিক্রিত জমির কোটি কোটি টাকা ট্রাম শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য খরচ করতে হবে।
চতুর্থ – দৈনিক চলাচল করা ট্রামের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
পঞ্চম – বন্ধ করে দেওয়া ট্রামের রুটগুলি অবিলম্বে চালু করতে হবে।
ষষ্ঠ – অবিলম্বে ট্রামের পরিকাঠামো উন্নয়নের বাজেট বরাদ্দ অন্তত: ৫০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করতে হবে।
সপ্তম – চাহিদা অনুযায়ী ট্রাম শ্রমিকদের সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হবে ও শ্রমিক সংগঠনগুলিকে মর্যাদা ও গুরুত্ব দিতে হবে ইত্যাদি।
বলাবাহুল্য, কলকাতার রাস্তায় ট্রাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে হাইকোর্ট একটি মামলা হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেইদিকেই নজর সবার।