
গোপাল শীল,দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:
বাংলার আকাশে দুর্যোগের মেঘ। নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফালায় উত্তাল সমুদ্র। সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার জারি করেছে মৎস্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই মৎস্য দপ্তরের নিষেধাজ্ঞ া পাওয়ার পর থেকেই একে একে মৎস্যজীবী ও ট্রলার গুলি বন্দরের দিকে ফিরে আসছে। এর ফলে বড়সড়ো ক্ষতির মুখে মৎস্যজীবীরা। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর একে একে গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবী ট্রলার গুলি বন্দরের দিকে ফিরছে।
এই বিষয়ে ট্রলারের মালিক মাখন দাস জানান, ইলিশের মরশুম প্রায় শেষের পথে। মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও নিম্নচাপ ও কোটালের কারণে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারছে না মৎস্যজীবীর। মাছের দাম আকাশ ছোঁয়া হতে চলেছে।
ক্যালেন্ডার বলছে বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসে গেল, তবুও ইলিশের দাম কমছে না।দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা ,ডায়মন্ড হারবার থেকে ইলিশের জোগান নেহাতই কম।যেটুকু ইলিশ মিলছে বাজারে, তার দাম আকাশছোঁয়া। তার উপর মৎস্যজীবীদের উপর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইলিশ মাছের যোগান আরও কম হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।