
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যু নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পাঠানো রিপোর্টে খুশি নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। ‘জেনেরিক’ রিপোর্টের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তিরস্কার করেছে ইউজিসি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি কাউকে বাঁচাতেই ইউজিসি-কে দায়সারা রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্ট।
ইউজিসির পর্যবেক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হোস্টেলগুলিতে অ্যান্টি রেগিং ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ১২ টি প্রশ্নের জবাব রিপোর্ট তলব করেছে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে মঞ্জুরি কমিশনের প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ফর্ম এবং ব্রোশিওরে রেগিং প্রতিরোধে কোনও টেলিফোন নম্বর দেওয়া ছিল কিনা ? প্রসঙ্গত গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে রহস্য মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ডান, বাম নকশাল ছাত্র সংগঠনগুলি দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। পড়ুয়াদের উপর যৌন নির্যাতন বন্ধের দাবীতে অবস্থান বিক্ষোভে বসে নকশালপন্থী ছাত্র সংগঠন আইসা। বিক্ষোভে পথে নামে এসএফআই, ডিএসওর মতো ছাত্র সংগঠনগুলিও। নিহত ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৯ জন ছাত্র এবং প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের ২৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং ডিন অফ স্টুডেন্টকেও লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। পুলিশি জেরায় ডিন মেনে নিয়েছেন হোস্টেলগুলির উপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকারও প্রশাসনিক ত্রুটির জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে ৪ জন সদস্য রয়েছেন। ৪ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে দু সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে বেশ চাপে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।