
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলাঃ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে অনেক জায়গাতেই মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করায় নতুন করে গরম আর না বাড়লেও বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় জারি রয়েছে। প্যাচপ্যাচে ঘর্মাক্ত পরিস্থিতিতে নাজেহাল আম বাঙালি।
মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি থাকবে বলেই হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। যদিও ২১ জুন বর্ষা এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা আটকে রয়েছে হলদিয়ার আকাশে। সোমবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা। বিকেল বা সন্ধের দিকে বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে। আগামী চার-পাঁচ দিন তিলোত্তমায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার পাশাপাশি সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গল-বুধবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির বাড়বে। দক্ষিণের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দমকা ঝড়ো হওয়ার সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। আগামী শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। বাড়বে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে।
কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বর্তমানে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, ছত্রিশগড়, অসম ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘূর্নাবর্ত রয়েছে। পূর্ব পশ্চিম অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আগামী তিন চার দিনে ছত্রিশগড়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড ও বিহারের বাকি অংশ এবং উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশে ঢুকবে মৌসুমী বায়ু।