
ওঙ্কার ডেস্ক: এ বছর শীতের দেখা পায়নি শহরবাসী। সকলে অপেক্ষায় ছিল বড়দিনে শীত পড়বে শহরে, কিন্তু এদিনও রীতিমতো ঘাম মুছতে দেখা গেল শহরবাসীকে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গত ১০ বছরে এটাই সবচেয়ে উষ্ণতম বড়দিন। তারা আরও জানিয়েছে যে নিম্নচাপ ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে শীতের আগমনে বাধা ঘটছে বারবার। সোমবারের মধ্যে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে রাজ্যে যার জেরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। দক্ষিনবঙ্গে তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও পারদ খুব একটা নামবে না।
অন্যদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে দেশের রাজধানী, সঙ্গে আছে কুয়াশার দাপট। যার জেরে যান চলাচলেও অসুবিধে হচ্ছে। দিল্লি বিমানবন্দরের প্রায় ৯০ টি বিমানের অবতরনের সময়সুচি পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর গড় উষ্ণতা ১০ ডিগ্রির নীচেই ঘোরাফেরা করছে। এছাড়াও কুয়াশার সাথে বাতাসে ধুলিকনার পরিমান বেশী হওয়ায় সকালের দিকে শহরের দৃশ্যমানতা নেমে যাচ্ছে প্রায় ১০০ মিটারের নীচে, যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন পরিষেবাও। এছাড়া হিমাচল ও হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রির নীচে। কিছু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত তুষারপাত হওয়ায় ধস নেমেছে ,যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকেরা। কাশ্মীরে তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের নীচে এবং আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৭ থেকে ৩০ তারিখ অব্দি তাপমাত্রার উন্নতি হবে না।
এই অবস্থায় রাজ্য এবং কলকাতার মানুষ হাপিত্যেশ করে বসে আছে শীতের জন্য। এই মরশুমে কি আর শীত পড়বে না প্রশ্ন উঠেছে মানুষের মনে। যদিও আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে বছরের শেষে বা নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যজুড়ে পড়বে জাঁকিয়ে শীত।