
অরূপ ঘোষ, ওঙ্কার বাংলা: ভোরে ঘন কুয়াশা আর বেলা বাড়তেই রোদের তেজ। সূর্য ডুবে গেলেই ঠান্ডা কনকনে হাওয়া জানান দিচ্ছে জঙ্গলমহলে এসে গেছে শীত। চলতি বছরে বাড়তি বেশ কিছুটা সময় বর্ষা হয়েছে জঙ্গলমহলে। তাই এই মরসুমে শীত একটু বেশিই পড়বে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে, এমনটাই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু একের পর এক নিম্নচাপের জেরে নভেম্বরে সেভাবে শীতের দেখা মেলেনি। নিম্নচাপ সরে যেতেই পারদ পতন শুরু হয়েছে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১৪ ডিগ্রির ঘরে। ইতিমধ্যে শীত উপভোগ করতে ঝাড়গ্রামে শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। সেই সঙ্গে কোথাও দেখা গেল আগুন পোহাতে। কাউকে আবার দেখা গেল শরীর গরম করতে ফুটবল পায়ে মাঠ কাঁপাতে। কলকাতা শহর এখনও শীত থেকে বঞ্চিত থাকলেও জঙ্গলমহলে শুরু হয়ে গিয়েছে শীত উপভোগের মরসুম। ঘূর্ণিঝড় ফেনজল বর্তমানে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহবিদদের মত অনুযায়ী, কেরল উপকূল পার করে সেটি এখন কর্নাটক উপকূলের কাছে রয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গে তাপমাত্রা বেড়েছিল। তবে চলতি সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।