
সুকান্ত চট্ট্যোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনাঃ চিকিৎসক স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল চিকিৎসক স্বমীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক অরিন্দম বালা।
বাগদার হেলেঞ্চা মণ্ডবঘটার গ্রামের বাসিন্দা বছর আটাশের অরিন্দম বালা পেশায় চিকিৎসক। বর্তমানে পিজি থেকে এমডি করছে। সূত্রে খবর, বছর দু’য়েক আগে নীলগঞ্জের রত্নতমা দে নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রত্নতমা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। অরিন্দমের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার পর তাঁরা বিয়ে করেছিলেন।
স্থনীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে অরিন্দম এবং রত্নতমার মধ্যে বনিবনা ছিল না। দু’জনের মধ্যে অশান্তি হত, প্রায় প্রতিদিন। বছর খানেক আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রত্নতমা। শনিবার রাতে অরিন্দম রত্নতমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে অরিন্দম তাঁর বাবা এবং ভাইকে জানান যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন।
অরিন্দম বাগদা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। খুনের মামলা রুজু হয়েছে ।