
সূর্যজ্যোতি পাল, কোচবিহারঃ আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদীদের হাতের মোমবাতি নিভিয়ে হামলা! মারধর করার করা হয় প্রতিবাদী শিল্পীদের। মুছে দেওয়া হল রাস্তায় লেখা স্লোগান, ছবি, আলপনা। অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়।
রাত দখলের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে হামলা। রাস্তা থেকে মুছে দেওয়া হল স্লোগান, ছবি, আলপনা। মারধর করা হল প্রতিবাদী আন্দোলনকারী শিল্পীদের। এই ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গার ঘটনা। মাথাভাঙ্গার তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলিদের বেদম প্রহারে আহত হয়েছেন মাথাভাঙ্গা পুরসভার এক আধিকারিক একাধিক জন। ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বাংলা জুড়ে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রতিবাদীদের শায়েস্তা করার নিদান দিয়েছিলেন। আর আজই সেই নিদান অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন তারই দলের নেতা কর্মী সমর্থকরা।
বুধবার সন্ধ্যা থেকেই মাথাভাঙ্গার চৌপথিতে মঞ্চ বেঁধে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল ভারতীয় গণনাট্য সংস্থা ও পশ্চিমবঙ্গ লেখক শিল্পী সংঘ। রাতে আচমকা সেখানে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হানা দেয় বলে অভিযোগ। নেতৃত্বে ছিলেন, মাথাভাঙ্গা শহর তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়। অভিযোগ, প্রতিবাদীদের হাতের মোমবাতি নিভিয়ে দেয় বিশ্বজিৎ। মারতে শুরু করে অনুষ্ঠানের এক উদ্যোক্তা প্রদ্যুত সাহাকে। এরপরই আন্দোলনকারীদের একাংশ তৃণমূল কর্মীদের হাত থেকে উদ্ধার করেন প্রদ্যুতকে। এরপরই তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় আঁকা স্লোগান, ছবি, আলপনা জল দিয়ে মুছে দেন।
ঘটনার পর সেখানে আসেন মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষ্যপতি প্রামাণিক। যদিও মারধোরের ঘটনা স্বীকার করেননি লক্ষ্যপতি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সমাজ মাধ্যমে পোষ্ট করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ঘটনায় যুক্ত থাক্র জন্য ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।