
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের সংঘাতে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল। শুক্রবার রাজ্যের তরফে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের রিপোর্ট কার্ডের পালটা জবাব দিল রাজ্য। নবান্নের অভিযোগ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চলছে দীর্ঘদিন ধরে। ইতিমধ্যে সেই জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার নির্বাচনের আগ মুহূর্তে রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে অশান্তি। ঘটনার শুরু বেশ কয়েক দিন আগে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র সভা করেছিল বেশ কিছুদিনে আগে। সভাপতি হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সভার পরেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে অপসারিত হন রজতকিশোর। এই ঘটনার পরই রাজ্যপালের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনের এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে লেখা ছিল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। একটি সংবাদ সংস্থা দাবি করে, রাজ্যপাল বোস শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে সরানোর সুপারিশ করেছেন। রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই সমস্ত অভিযোগের সত্যাসত্য খতিয়ে দেখবে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্ট কিংবা কলকাতা হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
শুক্রবার এই রিপোর্ট কার্ড নিয়ে এদিন পালটা জবাবে রাজ্য জানিয়েছে, ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড দেখে মনে হচ্ছে যে তিনি আইন মানতে চান না। এবং আদালতের প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষাও করতে চান না তিনি। বারবার আদালতের তরফে গোটা বিষয়টা দু’তরফের মধ্য কথা বলে মেটানোর পরামর্শ দেওয়া হলেও তা তিনি করেন নি। আর এই ব্যর্থতা রাজ্যপালের। রাজ্যপাল যা বলছেন তা আইন সিদ্ধ নয়।