
কয়েল বনিক, কলকাতাঃ অবশেষে কাজে ফিরছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ৪১ দিন পর উঠতে চলেছে ধর্না অবস্থান। নবান্নর তরফে অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়ায় ধর্না প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
টানা ৪১ দিন পর নমনীয় হলেন আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকরা। শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে উঠে যাচ্ছে অবস্থান বিক্ষোভ। এছাড়াও এদিন থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বন্যাদুর্গত এলাকায় অভয়া ক্লিনিক করতে চলেছেন চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবায় কাজে যোগ দেবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকেই জুনিয়ার চিকিৎসকরা সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেনারেল বডি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে্ন চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো।
জুনিয়ার চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘আমরা শুক্রবার থেকে নিজের নিজের কলেজে ফিরে গিয়ে এসওপি বানাব। যেখানে যেখানে খুব প্রয়োজন, সেগুলি চিহ্নিত করে সেখানে কাজে যোগ দেব। বাকি জায়গায় কর্মবিরতি চলবে। প্রয়োজনে আবার পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফিরতে পারি।’
উল্লেখ্য রাজ্য সরকার জুনিয়ার ডাক্তারদের প্রায় সব দাবিই মেনে নিয়েছে। সরানো হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকেও বদলি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি। আরও কিছু দাবির ক্ষেত্রে সরকারের মৌখিক আশ্বাস মিললেও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত,বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নর তরফে মুখ্যসচিব রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় দশ দফা পয়েন্ট উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন। সেখানে নিরাপত্তা, সুরক্ষা-সহ আন্দোলনকারীদের সব দাবি কার্যত দ্রুত পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরই নমনীয় হয়ে অবস্থান তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।