
নিজেস্ব প্রতিনিধি,ওঙ্কারঃ যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। অভিযোগের অঙ্গুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর দিকে। অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরলেন সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। শনিবার নির্বাচন রয়েছে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে।
সোমবার রাতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের গাঙ্গুলিবাগান এলাকার পার্টি অফিস বন্ধ করে রাতের খাবার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন মঙ্গলাচরণ চক্রবর্তী । তাঁর অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে বলেন এবার যেন পোলিং এজেন্ট হিসাবে না বসেন। পাল্টা তাঁদের তিনি জানান, দল যা ঠিক করবে তিনি তাই করবেন। অভিযোগ, এরপরই ওই তৃণমল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দলবল তাঁকে মারধর করেন। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশী এক মহিলা। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁকেও মারধর করেন। এরপর আহত মঙ্গলাচরণকে বাঘাযতীন রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। । তাৎপর্যপূর্ণভাবে হাসপাতালে যখন আহতদের ভর্তির প্রক্রিয়া চলছিল সেই সময় হাসপাতালে যান অভিযুক্তরা। বিষয়টি নজরে পড়ে এক প্রত্যক্ষদর্শীর। তিনি সৃজনকে জানান বিষয়টি। দ্রুত সৃজন অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। এরপরই নেতাজী নগর থানার হাতে তুলে দেন অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম সোমনাথ রাউত।
এ প্রসঙ্গে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “উনি প্রবীণ কর্মী। ৬৬ বছর বয়স। হার্টের সমস্যা আছে। সেই সময় কিছু গুণ্ডা আসে। বলে সিপিএম-এর হয়ে বুথে বসা যাবে না। উনি নিষেধ করতেই সঙ্গে সঙ্গে পেটে লাথি-ঘুষি। ওকে বাঁচাতে একজন ৭২ বয়সী ভদ্রমহিলা, ১৫ বছর বয়সী কিশোরী এগিয়ে আসে। ওদেরও মারে। আমি আপাতত ওকে তুলে দিয়েছি থানায়।”