
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘‘বাণী’’ প্রকাশের মাধ্যমে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। নতুন বাংলা বছরে বৈষম্যহীন, সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেইখানে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যকে স্মরণ করেছেন তিনি। দেশের শান্তি সম্প্রীতির বার্তাও দিয়েছেন তিনি সেখানে।
সোমবার বাংলাদেশের নতুন বছর শুরু। বছরের প্রথম দিনকে তারা ‘পহেলা বৈশাখ’ বলে থাকে। ‘পহেলা বৈশাখ’ উপলক্ষে মহম্মদ ইউনূস একটি ‘বাণী’ প্রকাশ করেছেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখের সমগ্র বাঙালি জাতের উৎসব বলে উল্লেখ করেছেন ইউনূস। কিন্তু তার মধ্যেও বাংলাদেশ অশান্তি অব্যাহত। রবিবার রাতে চট্টগ্রামের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান মঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম “ডেলি স্টার”।
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘বাণী’তে ইউনূস লিখেছেন, ‘‘বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে পহেলা বৈশাখ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। আসুন আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’’ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের কথাও উল্লেখ করেছেন ইউনূস। লিখেছেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।’’
নববর্ষের আনন্দ উৎসবের মাঝে রবিবার চট্টগ্রামের ডিসি হিল এলাকায় নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ‘ডেলি স্টার’ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর ‘পহেলা বৈশাখ’ উপলক্ষে ওই এলাকায় একটি মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। সেখানেই রাতে ভাঙচুর করে একদল দুষ্কৃতী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ‘আওয়ামী লীগের দালালরা সাবধান’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাত জনকে আটক করে।
নববর্ষে সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও। তিনি বলেন, ‘‘আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। বিভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু আমরা সবাই যেন সবাইকে শ্রদ্ধা করি। একে অপরের মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে, সেই অনুযায়ী আমরা অবশ্যই কাজ করব। কিন্তু আমাদের একে অপরের প্রতি যাতে শ্রদ্ধাবোধ থাকে, সে দিকে নজর রাখতে হবে।’’