
অপরূপা কাঞ্জিলাল: প্যাস্টেল সবুজ রঙের নেটের হাতে বোনা শাড়ি।গোটা শাড়ি জুড়ে সাদা আর গোলাপি ফুলের কারুকার্য।শাড়ির লম্বা আঁচল লুটিয়ে আছে গালিচা জুড়ে। আঁচলেও চোখধাঁধানো এমব্রয়ডারি আর তার থেকেও চোখ ধাঁধানো মোহময়ী রূপে সুন্দরী অভিনেত্রী। ঠিক ধরেছেন আলিয়া ভাটের কথাই বলা হচ্ছে। তবে এই সৌন্দর্য বা এই সুন্দর ছবিগুলির পেছনের যে কাহিনীটি তার শুনলে রীতির মতো চমকে উঠবেন। এত সুন্দরী মোহময়ী অভিনেত্রীকে নাকি বলা হয়েছিল ‘শৌচালয়ে যাওয়া যাবে না’। বিষয়টা কি? কেন একজন মহিলার শৌচাল হয়ে যেতে পারবেন না? মনে প্রশ্ন আছে নিশ্চয়ই তাহলে চলুন খুলে বলা যাক ব্যাপারটি। এই মুহূর্তে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শককে। বলিউড ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন হলিউডেও অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আলিয়া ভাট। মেট গালার মঞ্চ থেকে প্যারিস ফ্যাশন উইক সব জায়গায় নজর কাড়ছেন তিনি। নিজের সৌন্দর্য এবং প্রতিভা দিয়ে মন জয় করেছেন দর্শকদের। শুধু এদের নয় আন্তর্জাতিক স্তরেও নিজের গুণমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যা বাড়িয়েছেন। আর এহেন অভিনেত্রীকে কিনা শৌচালয় যাওয়ার ক্ষেত্রে এহেন নির্দেশ মেনে চলতে হয়েছে। আসলে চলতি বছর মেট গালায় পোশাক শিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের যে ২৩ ফুট লম্বা অপূর্ব শাড়ি পরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সেই শাড়ি পড়ার জন্যই ৬ ঘন্টা শৌচালয়ে যেতে পারেননি তিনি। তাকে জানানো হয়েছিল এই শাড়ি পড়ে তিনি শৌচালয়ে যেতে পারবেন না। আর সেই সময় যে দীর্ঘ ছয় ঘন্টা তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি অভিনেত্রী। এ বিষয়ে অভিনেত্রী নিজেই মুখ খুলেছেন তিনি জানিয়েছেন টানা 6 ঘন্টা শৌচকর্ম করতে পারেনি তিনি। অতএব বুঝতেই পারছেন যে সুন্দর অভিনেত্রীর মোহময়ী আবেদনে তার ভক্তেরা মুগ্ধ হয়ে যান সেই মোহময়ী রূপকে তুলে ধরতে ওই অভিনেত্রীকে কতটা কষ্ট করতে হয় তা একমাত্র বোধহয় তারাই জানে।