
ওঙ্কার ডেস্ক : শুক্রবার রাতে শহীদ ঝন্টু শেখের নিথর দেহকে গান স্যালুট দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন ব্যারাকপুরের সেনা অফিসাররা। শহীদ ভাইয়ের কফিনবন্দি দেহ নিতে উপস্থিত ছিলেন সৈনিক দাদা। শনিবার সকালে শহীদ ঝণ্টু আলী শেখ এর কফিন বন্দি দেহ আসে নদীয়ায় তার নিজের বাড়িতে। ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত দাদা সফিকুল শেখ জানান কোন জাত-পাত বা ধর্ম নয়! অশান্তি নয়! সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়াই একমাত্র পথ। তিনি জানান বসন্ত গঞ্জে জংগলের মধ্যে লুকিয়ে ছিলো জঙ্গিরা। ঝন্টু নেতৃত্ব দিচ্ছিল গোটা টিমকে । তাদের আক্রমণ করতে গিয়েই আচমকা পিছনদিক থেকে গুলী চালায় জঙ্গিরা। তার মাথায়, এবং দুই কাধে গুলি লাগে । তৎক্ষণাৎ গুলি বিদ্ধ রক্তাক্ত অবস্থায় হেলিকপ্টারে করে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ঝন্টুকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
শনিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ শহীদ জোয়ান ঝন্টু আলী শেখের দেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। শহীদ যাওয়ানের দেহ ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার। কফিনের উপর কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তার স্ত্রী, সন্তান , এবং বাবা মা। নদীয়ার তেহটর পাথরঘাটা তার বাড়ির সামন জাতীয় পতাকা দিয়ে তাকে সম্মান জানানো হয়। শহীদকে সম্মান জানাতে আসেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র । সাঙবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ধর্মের নামে রাজনৈতিক মেরুকরণ বন্ধ করা দরকার । এবং এই জঙ্গি হামলার জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকারকে দায়ি করেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র।
ভিডিও দেখুন-