
ওঙ্কার ডেস্কঃ তৃণমূলের বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রীর ছ’লক্ষ টাকার ডেলিভারির মেডিক্যাল বিল নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছিল কিছুদিন আগেই।এবার তৃণমূলের আরেক বিধায়কের মেডিক্যাল বিল নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে জলঘোলা। বিধায়কের নাম মানিক ভট্টাচার্য। যিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। কিছুদিন আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য কয়েকটি মেডিক্যাল বিল বিধানসভার টিএ-ডিএ সেকশনে জমা দেন, যার মধ্যে একটি বিল নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। বিলটি খতিয়ে দেখার পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ডেকে পাঠান প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে।
বিধানসভা সূত্রের খবর, মানিক যেসব বিল বিধানসভায় জমা দিয়েছিলেন , তার মধ্যে একটি হল তাঁর কারাবন্দি থাকাকালীন সময়ের। নিয়মানুযায়ী, কোনও বন্দী জেলে থাকাকালীন তাঁর সমস্ত চিকিৎসার যাবতীয় দায়ভার বহন করে জেল কর্তৃপক্ষ। সেই সূত্রেই বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন উঠছে, কারাবন্দি থাকার সময় চিকিৎসার খরচের বিল মানিক কী ভাবে বিধানসভায় জমা দিলেন? তবে বিধানসভার অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মানিক যদি জেলযাত্রার আগে কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, ধারাবাহিক ভাবে সেই রোগের চিকিৎসা চলতে থাকে এবং তিনি জেলে যাওয়ার পরেও বাইরে থেকে সেই সংক্রান্ত চিকিৎসা বা ওষুধের বন্দোবস্ত যদি তাঁর পরিবারকে করতে হয় , সে ক্ষেত্রে বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে মানিক সেই মেডিক্যাল বিল জমা দিতেই পারেন।
বিধানসভার টিএ-ডিএ সেকশন থেকেই মেডিক্যাল বিল সংক্রান্ত কাজ করা হয়ে থাকে। বিলগুলিতে যদি খুব বেশী অসংগতি না থাকে তাহলে তা নিয়ে জানানো হয় না উচ্চস্তরে। এর আগে কাঞ্চন মল্লিকের কন্যা সন্তান জন্মের বিলের পরিমান ছিল প্রায় ৬ লক্ষ টাকা, শিশু প্রসবের বিল এত কি করে হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল এবারও সেই একই রকম সমস্যার জন্যই শুরু হয়েছে শোরগোল। যদিও সোমবার বৈঠকের পর মুখ খোলেননি জেল সুপার বা স্পিকার কেউই।