
অপরূপা কাঞ্জিলাল: দোলনায় দুলছে একটি মেয়ে, ঘুরে বেড়াচ্ছে এবাগান সেবাগান, চঞ্চল উচ্ছল এক নদীর মত মেয়েটি তার মিষ্টি স্বভাবের জন্য সকলের মনে গেঁথে গিয়েছিলেন। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন ধন্যি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করা জয়া বচ্চন। যদিও বর্তমানে তাকে আর যাই হোক মোটেই মিষ্টি বলা যায় না। বরং তার স্বভাবের জন্য তিনি অনেকটাই নেতিবাচক তকমা লাগিয়ে ফেলেছেন নিজের নামের সাথে। ১০ই এপ্রিল ৭৬-এ পা দিলেন জয়া বচ্চন। আর ছিয়াত্তরে পা দিয়েই বিরাশি সিক্কার প্রশ্ন এর জন্ম দিয়েছেন। ঠিক কি করলেন তিনি? নেটপাড়ায় অত্যন্ত বদ মেজাজি বলেই পরিচিত বচ্চন ঘরণী। তবে সেই নিয়ে একবিন্দু মাথাব্যাথা নেই তারকা সাংসদের।আলোচিত্রীদের ক্যামেরা দেখলে খেঁকিয়ে ওঠাটাই জয়ার স্বভাবসিদ্ধ আচরণ। আসলে জয়া বচ্চন মানেই মেজাজ সপ্তমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি কিন্তু তিনি একটু দূরে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। কিন্তু এবার সেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উঠে এলো কেন জন্মদিনে শাশুড়ির উদ্দেশ্যে কোন শুভেচ্ছা বার্তা এলোনা পুত্রবধূর তরফ থেকে? যেখানে প্রিয়জনকে বিশেষ দিনে আদরে ও শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন মানুষ সামাজিক মাধ্যমে সেখানে সেলিব্রেটি দের সামাজিক অবস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষের সব সময় খেয়াল থাকে। কাজেই এই বিষয়টিও চোখ এড়ায়নি নেটিজনদের। যদিও বচ্চন পরিবারের বাকি সব সদস্যই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গৃহকত্রীকে। একমাত্র চুপ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। উল্লেখ্য গত বছর থেকেই বচ্চন পরিবারে অশান্তির খবর শোনা যাচ্ছে। মেয়ে শ্বেতার সঙ্গে দিওয়ালির পুজো করতে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চনকে। এদিকে ঐশ্বর্য তখন মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে মুম্বই ছাড়ছিলেন। এতেই বচ্চন পরিবারের ভাঙনের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এর পরই আবার শোনা যায়, নিজের বিলাসবহুল বাংলো প্রতীক্ষা মেয়ে শ্বেতার নামে করে দিয়েছেন বিগ বি। তাতে নাকি অশান্তি আরও বাড়ে। গুঞ্জন, শ্বাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতার সঙ্গে নাকি একেবারেই বনিবনা নেই ঐশ্বর্যর। অন্যদিকে আদরের ননদের বারবাড়ন্ত শশুর গৃহে তাই বেশিরভাগ সময় বচ্চনবধুর কাটে তার বাবার বাড়িতেই। কাজেই আরো একবার প্রশ্ন উঠে এলো তবে কি শ্বশুরবাড়ির সাথে ঐশ্বর্যের সম্পর্কের এই টানা পড়েনের আসল কারণ জয়া বচ্চনই?