
ওঙ্কার ডেস্ক: বাংলার রাজনীতিতে আসতে চলেছে বাংলার বাঘ বাঘিনী। বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন বাংলার বাঘ দিলীপ ঘোষ। একদিকে গতকাল কালবৈশাখীর বৃষ্টিতে শীতল রোমান্টিক আবহাওয়া অপরদিকে হতে চলেছে দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের দুই হাত এক। বলাবাহুল্য সম্পুর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া এখন শুধু দিলীপময়।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুভ ক্ষণের আর মাত্রও কিছু সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় ঠিক করা হয়েছে বিয়ের লগ্ন। থাকছে না তেমন কোনও আয়োজন। ছিমছাম সাদামাটা বিয়েই সারতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শুধুমাত্র দুই পরিবারের কিছু সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
কুৎসা, রঙ্গতামাশার পাশাপাশি দিলীপ বাবু পাচ্ছেন একাধিক শুভেচ্ছাও।রাজ্য বিজেপির নেতারাও শুক্রবার সকালে দল বেঁধে তাঁর বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
ষাট পেড়িয়েছেন দিলীপ বাবু। আগামী ১৯-এ এপ্রিল তাঁর জন্মদিনও। এবারের সেলিব্রেশন হবে কিছুটা আলাদা কারণ এবার আর একা থাকবেন না স্পেশাল দিনে জন্মদিন পালন করবেন স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে। দিলীপের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর দিলীপ যখন খানিক বিষণ্ণ, তখন রিঙ্কুই প্রথম তাঁকে সংসার বাঁধার প্রস্তাব দেন। প্রত্যেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যেকোনো রাজনৈতিক মহিলা নেতৃত্বকে বিয়ে করার পর পরই উন্নতি ঘটে নেতাদের। যেমন, দীপা দাশমুন্সির সঙ্গে বিয়ের পর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির রাজনৈতিক কেরিয়ারে উত্থান হয়েছিল। আবার শিখা মিত্রকে বিয়ে করার পর সোমেন মিত্ররও রাজনৈতিক জীবনে তুমুল পরিবর্তন এসেছিল। দেখার বিষয় দিলীপ বাবুর বিয়ের ফুল ফুটলেও পদ্ম শিবিরে কি আসবে নয়া পরিবর্তন।