
শান্তনু পান ও প্রদীপ মাইতি, পশ্চিম মেদিনীপুর : একসময়ের ঘরের মাঠেই বিক্ষোভের মুখে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। রাস্তা উদ্বোধনে গিয়ে স্থানীয় মহিলাদের কটাক্ষ শুনতে হলো তাঁকে। পাল্টা ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য দিলীপের মুখেও। শুক্রবার দুপুরে ‘রেল শহর’ খড়গপুরের ৬নং ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকায় একটি ঢালাই রাস্তার উদ্বোধনে যান দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, দিলীপ পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে এলাকার মহিলা তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দিলীপকে দেখেই তাঁদের প্রশ্ন, ‘দাদা এতদিন কোথায় ছিলেন ? সাংসদ থাকা অবস্থায় তো আপনাকে একদিনের জন্যও দেখতে পাইনি। এখন আমাদের কাউন্সিলর (প্রদীপ সরকার) রাস্তা তৈরি করে দেওয়ার পর আপনি এসেছেন ?’ বিক্ষোভের মুখে পড়ে দিলীপ মহিলা তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি টাকা দিয়েছি। কারও বাপের টাকা নয় ! যাও গিয়ে প্রদীপ সরকারকে জিজ্ঞেস করো।’

দুই তরফে বাদানুবাদের মধ্যে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দিলীপের কথা শুনে ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীরা বলেন, ‘আপনি বাপ তুললেন কেন?’ পাল্টা দিলীপ বলেন, ‘চোদ্দ পুরুষ তুলব। আমি টাকা দিয়েছি, তাই আমি উদ্বোধন করতে এসেছি। ন্যাকামি করবেন না।’
বচসার মাঝেই মহিলা তৃণমূল কর্মীরা দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয় খড়গপুর টাউন থানার পুলিশকেও।

পরে দিলীপ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করছে কেন এসেছেন? আমি টাকা দিয়েছি, আমিই তো উদ্বোধন করব!’ ‘বাপ’ মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ বাপ তুলেই কথা বলবে। ৫০০ টাকার চাকর সব। ঘেউ ঘেউ করছে।’ খড়গপুর পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রদীপ সরকার দিলীপের বক্তব্যের প্রতিবাদে বলেন, ‘মহিলাদের প্রতি এই ধরনের মন্তব্যকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি।’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার কথায়, ‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। এটাই দিলীপ ঘোষের সংস্কৃতি!’