
নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর : সোমবার থেকে দুদিনের মউর্শিদাবাদ সফরে জেলায় থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই খোদ বহরমপুরে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। বেধড়ক মারধর করা হল তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। মূলত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা মনে করছেন স্থানীয়রা।
রবিবার রাতে বহরমপুরের মধুপুর এলাকার একটি ক্লাবে শুরু হয় বচসা। স্থানীয় তিন তৃণমূল নেতাদের ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতিরা। তারপরই বচসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। বচসার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পরই চেয়ার, পিস্তলে বাট ও লাঠি দিয়ে বেডধড়ক মারধর করা হয় ওই তিন তৃণমূল নেতাদের। অভিযোগ তারপরই শূন্যে ছয় থেকে সাত রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তৃণমূল নেচা মিঠু জৈন, দেবজ্যোতি রায়-সহ তিনজন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর বহরমপুরে যাওয়ার আগেই এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতিদের তাণ্ডবের ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বহরমপুর থানায়। যদিও এই ঘটনার সাথে যুক্ত দুষ্কৃতিরা এখনও পলাতক।
জখম তৃণমূল নেতা মিঠু জৈন বলেন, ‘হঠাৎ করে দেখলাম কিছু ছেলে, আমি চিনি প্রায় সবাইকে। ওরা হঠাৎ করে এসে গুলি চালায়। কোথা থেকে পাচ্ছে আর্মস জানি না। আমি নিজে তৃণমূল করি। রাজনীতির খেলা নেই এখানে তাই। গুলির খোলগুলো থানায় জমা দিয়েছি। কী কারণে এমন করল, বুঝতে পারছি না। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী এই শহরে আসবেন, দল ওঁদের নেতৃত্ব দিয়েছে, ওরা এসব করছেন। সুমন চৌধুরি, ১৬ নং ওয়ার্ডের যুব সভাপতি। এরা তৃণমূলটাকে শেষ করে দিল। আমি সক্রিয় কর্মী। আমি তৃণমূল করি, ওরাও করে। কিন্তু এমন তৃণমূল কখনও করিনি। আমরা তিনজন গুরুতর জখম। মাথায় পিস্তলের বাট দিয়ে মেরেছে। চার জায়গায় ফেটেছে আমার। নার্সিংহোমে যেতে হবে। এছাড়াও জখম দেবজ্যোতি রায়ের বলেন, দুষ্কৃতীরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছিল, মিঠুদা বললেন এখানে করিস না। চলে গেল, আধ ঘণ্টা পর এসে মারধর করল। চেয়ার দিয়ে মারল। চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চলেছে। ভাঙচুর করল সব।
যদিও ওই তিন তৃণমূল নেতাদের ওপর দুষ্কৃতিদের হামলার ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বিকার করে তৃনমূলের আরেক গোষ্ঠীর নেতা। তিনি বলেন, মিঠু জৈন লেঠেল বাহিনী নিয়ে চড়াও হয়েছিল। আগে তৃণমূলের পদে ছিলেন এখন সমাজ বিরোধী। ওই ক্লাবে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ চলে। দোষীরা যেন শাস্তি পায়। যদিও এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।