
ওঙ্কার ডেস্কঃ নতুন বছরে একের পর এক বিপত্তি লেগেই রয়েছে নবাব পরিবারে। কয়েকদিন আগেই হামলা হয়েছে বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপরে। পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। এরই মাঝে নতুন সমস্যার আগমন। জানা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশে পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি হাত ছাড়া হতে পারে। এই সম্পত্তিতে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে আদালত, তাই সম্পত্তি চলে যেতে পারে কেন্দ্রের হাতে।
২০১৫ সালেই মুম্বইয়ে অবস্থিত শত্রু সম্পত্তি সংক্রান্ত দপ্তরের তরফে ঘোষণা করা হয় ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি। এরপরই পতৌদি পরিবার আইনের দ্বারস্থ হয়। তারা দাবি করেন ওই সম্পত্তির মালিক তারাই। ২০১৫ সালে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাজ্যের হাই কোর্ট তা তুলে নিয়েছে। এবার শত্রু সম্পত্তি আইনে হাতছাড়া হতে পারে পতৌদি পরিবারের মালিকানা।
এই শত্রু সম্পত্তি আইন হল, ১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল এক প্রিন্সলি স্টেট। তাঁর শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। সইফের বাবার দিদা ছিলেন তিনি। তাঁর বড় সন্তান আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান থেকে যান ভারতে। তিনি বিয়ে করেন সইফের ঠাকুরদা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। এর ফলে সইফের ঠাকুরদা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হন। ২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেয়, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি। এবং তাঁর নাতি সইফ আলি খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করা হয়। এরপরেই আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ায় নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে নবাব পরিবারে।