
ওঙ্কার ডেস্কঃ গত ১৬ জানুয়ারি হামলা হয় বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপরে। এই ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। পুলিশের জেরায় বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরার মুখে হামলার দোষ স্বীকার করেন অভিযুক্ত শরিফুল।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছিল শরিফুল বাংলাদেশি নাগরিক। গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে মুম্বইয়ে বসবাস করছিলেন তিনি। কয়েক জায়গায় কাজও করেছে সে। হামলার অভিযোগে গত রবিবার বান্দ্রা আদালতে পেশ করানো হয় ধৃত শরিফুলকে। কিন্তু আইনজীবী সন্দীপ শেরানি দাবি করেছিলেন, পুলিশের হাতে এমন কোনও তথ্য নেই, যাতে প্রমাণ হয় ধৃত আসলে বাংলাদেশের নাগরিক। অন্যদিকে মুম্বই পুলিশ দাবি করেছে, ধৃত শরিফুল আসলে বাংলাদেশী নাগরিক তার তথ্য প্রমাণ তারা পেয়েছে।
পুলিশ সুত্রের দাবি, প্রায় মাস সাতেক আগে মেঘালয়ের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাউকি নদী পার হয়ে এ দেশে ঢুকেছিলেন শরিফুল। সেখান থেকে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। কয়েক সপ্তাহ পশ্চিমবঙ্গে থেকে আধার কার্ড তৈরির চেষ্টা করেছিলেন শরিফুল ওরফে বিজয় দাস। তবে সে চেষ্টা তাঁর সফল হয়নি। তারপর বেশ কয়েকটি জেলায় কাজের খোঁজ করে মুম্বই চলে যায় সে। কিন্তু ভারতে থাকাকালীন একটি ভারতীয় সিমকার্ড কেনেন শরিফুল। পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করেছেন তিনি। তবে পুলিশের দাবি, সইফের বান্দ্রার বাড়ির আশেপাশে দেখা গেছে তাঁকে। চুরির উদ্দেশ্যেই শরিফুল ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।