
ওঙ্কার ডেস্কঃ হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন সইফ আলি খান। পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরছেন অভিনেতা। পরিবারের সদস্যরা আগে থেকেই পৌঁছে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। দুপুর ২ টোর সময় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে লীলাবতী হাসপাতালের বাইরে দেখা যায় সইফকে। চিকিৎসকদের মতে, টানা বিশ্রামে থাকতে হবে অভিনেতাকে। তাঁর শরীরের আঘাত গুলি গুরুতর, তাই বেশি নড়াচড়া করলে রক্তপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন শুয়েই থাকতে হবে অভিনেতাকে। এক সপ্তাহ কোনও ভাবেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না।
সোমবারই চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন সইফের ছুটির কথা। তবে ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনে নয়, আপাতত বান্দ্রার অন্য এক ফ্ল্যাটে থাকবেন সইফ। ইতিমধ্যেই সেখানে তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি দুষ্কৃতীর হামলায় জখম হন অভিনেতা। জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকার অভিজাত সইফ আলি খানের ফ্ল্যাটে হানা দেয় এক দুষ্কৃতী। রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ ওই ব্যক্তিকে করিনার ছোট ছেলে জেহ্র ঘরের সামনে দেখতে পান এক মহিলা কর্মী। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন সইফ। এর পরই শুরু হয় হাতাহাতি। অভিযোগ, সেই সময়ই ধারালো ছুরি নিয়ে অভিনেতার উপর চড়াও হন ওই ব্যক্তি।
ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছেন অভিযুক্তকে। পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ ভারতীয় নাগরিকই নন। তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। মাস সাতেক আগে মেঘালয়ের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাউকি নদী পেরিয়ে শরিফুল এ দেশে ঢুকে পড়েন। ভারতে নানা জায়গায় কাজের খোঁজ করে মুম্বইয়ে চলে যান তিনি। সেখানে তিনি কয়েক মাস কাজও করেন। কিন্তু চুরির অভিযোগে কাজ চলে যায় তার। তবে কি উদ্দেশ্যে তিনি সইফের বাড়িতে হামলা করেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। চুরির উদ্দেশ্যেই শরিফুল ওই বাড়িতে ঢুকেছিল বলে পুলিশের দাবি।