
ওঙ্কার ডেস্ক : পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। এই আবহে এবার পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত তিনটি নদীতে কমতে শুরু করেছে জলের প্রবাহ। আর যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে শাহবাজ শরিফ সরকারের।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু এবং তার উপনদী চন্দ্রভাগা ও বিতস্তার জলের উপর পাকিস্তানের প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভরশীল। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সংঘাতের কারণে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নদীগুলি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হচ্ছে, গত কয়েক দিনে চন্দ্রভাগা, সিন্ধু এবং বিতস্তা নদীতে জলপ্রবাহ কমে গিয়েছে।
পাকিস্তানের ইন্দাস রিভার সিস্টেম অথরিটি বা আইআরএসএ সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত থেকে সরবরাহ কম থাকার কারণে চন্দ্রভাগায় আচমকা জলপ্রবাহ কমে গিয়েছে। খারিফ মরসুমে এতে জলাধারের ঘাটতি আরও বাড়তে পারে।’ সংস্থাটির তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিতস্তার উপর মংলা জলাধার এবং সিন্ধুর উপর তারবেলা জলাধারে সংরক্ষিত জলের পরিমাণ অনেক কমে এসেছে। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাজিকিস্তানে হিমবাহ সংরক্ষণ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে, তা একতরফা এবং বেআইনি। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু এবং তার উপনদীগুলির জল বণ্টিত হয়। এ ভাবে সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য লক্ষ লক্ষ জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা উচিত নয়। পাকিস্তান এটা মেনে নেবে না। আমরা ভারতকে লাল দাগ অতিক্রম করতে দেব না’ যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের জবাব দিয়েছিল নয়াদিল্লিও। পাকিস্তানের সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার কারণে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি কার্যকর বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছিল ভারত।