
উজ্জ্বল হোড়, জলপাইগুড়ি : রবিবার সকাল থেকেই বানারহাট নেটওয়ার্ক চা বাগানের শ্রমিকেরা বকেয়া মজুরি ও বেতনের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন । আন্দোলন বহাল থাকলে সোমবার থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন চা বাগানের শ্রমিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পাওয়ার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল নিউজ ডুয়ার্স চা বাগানের শ্রমিকরা। রবিবার সকাল থেকেই কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা । তাদের অভিযোগ গত সাত সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের মজুরি এবং স্টাফ ও সাব স্টাফদের বেতন বাকি রয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে টাকা না দেওয়ার কারণে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা দুঃসহ হয়ে উঠেছে। একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে অন্যদিকে টানা আয় বন্ধ। দিনের পর দিন না খেয়ে অভুক্ত থাকতে হচ্ছে। চ। এই সমস্ত অভিযোগ তুলে রবিবার বিক্ষোভের শামিল হয়েছিল শ্রমিকরা।
রবিবার শ্রমিকদের আন্দোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতার সঞ্জয় কুজুর এবং ধন বাহাদুর ছেত্রী। ঘটনাস্থলী পৌঁছে পুরো বিষয়টি জানার পরে তারা শ্রমিকদের আশ্বাস দেন এ বিষয়টি উচ্চতম মহলে তোলা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু শ্রমিকদের একাংশ জানিয়েছেন দ্রুত বকেয়া মজুরি এবং বেতন না দিলে তারা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এর পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠন থেকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই চা বাগানের কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত আশ্বাস দেননি।
উল্লেখ্য রবিবার নিজেদের দাবি মেটাতে আন্দোলনের সামিল হলেও, চা বাগানের শ্রমিকরা সোমবার থেকে নিজেদের রুটি রুজি এবং চা বাগানকে সচল রাখতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন।
এখন এটাই দেখার প্রশাসন কবে তাদের বকেয়া মজুরি ও বেতন মেটাতে পারে।