
নিজস্ব সংবাদদাতা : বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসাম থেকে আসা একটি মালগাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল বহুমূল্য কাঠ, সুপারি গাঁজা। আসামের গুয়াহাটি থেকে মহারাষ্ট্রগামী ওই মালবাহী গাড়ি তে অবৈধ কাঠ পাচারের খবর গোপন সূত্রে জানতে পায় জিআরপি ও আরপিএফ। সেইমত ট্রেনে তল্লাশি চালায় তারা, তারপরই চক্ষুচড়ক গাছ তাদের। প্রায় প্রতি ওয়াগনেই ছিল বিপুল পরিমানে বর্মাটিক কাঠ থেকে শুরু করে সুপারি ও গাঁজা। মূলত প্রতিবেশী মায়ানমার থেকেই চোরাচালান করা হচ্ছিল বলে সূত্রের খবর। ঘটনাস্থল থেকে পলাতক ঐ মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট ও গার্ড।
বহূমূল্য বর্মাটিক কাঠ ও তার আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার কারনেই এটি চোরাবাজারে একটি লোভনীয় পন্য হিসাবেই গন্য হয়। মায়ানমারের বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের আর্থিক সহায়িতা আসে ভারতে কাঠ, গাঁজা, সুপারি ও নানা নেশাদ্রব্য পাচারের মাধ্যমে। এমনটাই কেন্দ্রের গয়েন্দা সংস্থা তরফ বহুবার জানিয়েছে বলে খবর। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নিষেধাজ্ঞা কারনেই ভারতের ভিতর দিয়েই এই কাঠ পাচার হয় বিশ্বের বিভিন্ন চোরাইবাজারে। এই ঘটনা অবৈধ কাঠের চোরাই ব্যাবসার পাশাপাশি ভারত-মায়ানমার সীমান্তের দুর্বল নিরাপত্তার দিকেও ইঙ্গিত করে।
রেলের এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্তেও এত কাঠ কিভাবে ওই গাড়ি তে বোঝাই করা হল সে নিয়ে তদন্ত করছে প্রশসন। এতে আর কে বা কারা জড়িত আছে সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হছে বিষয়টি। কোনো বড় চক্র এর সঙ্গে জড়িত আছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এই চক্রের সঙ্গে স্থানীয় ও কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির যোগসূত্র আছে বলে মনে করছে প্রশাসন।
রেলওয়ে পুলিশ ফোর্স এই ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। কোনো গ্রেফতারির কথা এখনো সামনে আসেনি। রেলের চালক ও গার্ডের খোঁজ চালাছে পুলিশ। বর্মাটিক কাঠের পাচার নতুন নয় এদেশ। এর আগে ২০২৪ এ নক্সালবাড়িতে এবং ২০২২ এ পাণকৌড়ি তে এই কাঠ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা গুলি ভারত-মায়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ বড়সড় প্রশ্ন তোলে।