
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার ডেক্স: প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য এখন কলকাতা হাইকোর্টের আঁতস কাঁচের নিচে। যোগ্য অযোগ্য মাফ কাটিতে যখন ঝুলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বরাদ। তখনই প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার তোপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসছে দিনহাটার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেবার নামে ৫ লক্ষ টাকা আত্মাসাৎ করার ও অভিযোগ সামনে আসছে। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,এবার অভিযুক্ত শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্যাতিতা মহিলার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারকে। পাশাপাশি নির্যাতিতা মহিলার বিরুদ্ধে পুলিশ যে এফআইআর করেছে তাতে কোনোরকম নির্যাতিতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য নির্যাতিতার উপর চাপ দেয় অভিযুক্ত ওই শাসক দলের নেতা।
উল্লেখ্য, যোগ্য অযোগ্যের গেড়োতে পড়ে এখন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি যেতে বসেছে। চাকরিহারা শিক্ষকের খতে পোলেপ দিতে হিমসম খাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে ৩২ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের ভাগ্য। তখনি শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ সামনে আসছে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়াবে জোড়াফুল শিবিরের।