
ওঙ্কার ডেস্ক: ছেলেমেয়ে দু’জনেই থাকেন কলকাতার বাইরে। চারতলা বাড়িতে একাই থাকতেন বাবা। বাড়িতে ঢোকার মুখে সিঁড়ির কাছ থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধের দেহ। খুন নাকি শারীরিক অসুস্থতা মৃত্যু বৃদ্ধের? তা নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। ইতিমধ্যেই নেতাজিনগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
নিহত বছর সত্তরের আশুতোষ দাস। দুই সন্তানের বাবা তিনি। জানা গিয়েছে, একসময় প্রেস ছিল তাঁর। রামগড় এলাকায় নিজের চারতলা বাড়িতে থাকতেন ওই বৃদ্ধ। ছেলেমেয়ে বিদেশে থাকার ফলে প্রাসাদোপম বাড়িতে একাই থাকতেন বৃদ্ধ। প্রতিবেশীদের দাবি, কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ছিলেন বৃদ্ধ। তা সত্ত্বেও তাঁর বাড়িতে কোনও পরিচারক-পরিচারিকা ছিলেন না। নিজের কাজ তিনি নিজেই করতেন। কারও সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ ছিল না। কারও সঙ্গে কথাবার্তাও বলতেন না। বেশিরভাগ সময় দরজা বন্ধ করে বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর বাড়িতে কাউকে বিশেষ আসা যাওয়া করতেও দেখা যেত না। গত শুক্রবার শেষবার দেখা যায় বৃদ্ধকে।
সোমবার সকালে এলাকা দুর্গন্ধে ভরে যায়। তাতে বিরক্ত হন এলাকাবাসীরা। নেতাজিনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। তাতে দেখা যায় একেবারে ঢোকার মুখে সিঁড়ির নিচে পড়ে রয়েছেন তিনি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধারের সময় দেহে পচন ধরেছিল। পুলিশ নিহতের ছেলেমেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। খুন, আত্মহত্যা নাকি শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের, তা এখনও ধোঁয়াশা। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।