
নিজস্ব সংবাদদাতা, নদীয়া : প্রকাশ্যে টেবিলে বসে মদ্যপান জেলা স্বাস্থ্য প্রধানের! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই সোরগোল পরে গেছে। সি এম ও এইচ একটি পেচো মাতাল দাবি বিজেপির। পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
প্রকাশ্যে টেবিলে বসে মদ্যপান করছেন খোদ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড়। বিজেপির দাবি স্বাস্থ্য আধিকারিক একজন পেচো মাতাল। উল্লেখ্য, হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে কয়েকটি টেবিলের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মদের গ্লাস। টেবিলের পাশে চেয়ারে বসে রয়েছে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে তাকে মদ্যপান করার উৎসাহ প্রদান করছে।
ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন উঠে যে স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতিনিয়ত মদ্যপানের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তুলছেন সেই দপ্তরের জেলা স্বাস্থ্য প্রদান যদি প্রকাশ্যে এইভাবে মদ্যপান করেন আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তাহলে সমাজের খারাপ বার্তা যাবে বলেই মতামত সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক মহলে। যদিও নিজের এই ন্যক্কারজনক কাজকে জোর গলায় সর্বান্তকরণে সমর্থন কোড়টেঈ ডেখা গেলো সি এম ও এইচ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার বলেন, যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন জেলার স্বাস্থ্য প্রধান যিনি কিনা সি এম ও এইচ তিনি যদি প্রকাশ্যে এইভাবে মদ্যপান করেন তাহলে মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে কি করবেন সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু প্রকাশ্যে যদি এইভাবে মদ্যপান করে তিনি পেচো মাতাল ছাড়া আর কিছুই না।
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এটা সম্পূর্ণ বিজেপির ষড়যন্ত্র। একজন মানুষ যে কোন দপ্তরে কাজ করতে পারে। কিন্তু তার একটা ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। সেই ব্যক্তিগত জীবনে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এটা স্বাস্থ্য আধিকারিক কে কালির মালিক তো করার একটা প্রয়াস চলছে।
প্রশ্ন উঠছে একজন জেলার স্বাস্থ্য প্রধান হয়ে যদি প্রকাশ্যে মদ্যপান করেন, আর তার ভিডিও যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপরেও তিনি যদি অনুশোচনাবোধ না করেন তাহলে জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা কি হতে পারে সেটা অনুমান সহজেই করা যায়। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওঙ্কার বাংলা ।